চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শুল্ক স্থল বন্দর হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থল বন্দর। দেশের অন্যান্য বন্দরে রাজস্বের লক্ষমাত্রা অর্জিত হলেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জণ করতে পারছে না চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর। কেননা চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৪ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। এদিকে বন্দরটির এমন ব্যর্থতার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানির পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকাকে বললেও রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম ৪ মাসে ৩৭১ কোটি ৮২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৫৬ কোটি ৩৪ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা। এর মধ্যে গত জুলাই মাসে ৭০ কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬০ কোটি টাকা আদায় করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগস্টের লক্ষ্যমাত্রা ৯০ কোটি ৫ হাজার টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬১ কোটি ৯৪ হাজার টাকা। সেপ্টেম্বরে ১০৬ কোটি ৮ হাজার বিপরীতে ৫৭ কোটি ৯৫ হাজার টাকা। আর গত অক্টোবরে ১০৬ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র ৭৮ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা।
এ বিষয়ে আমদানি-রফতনিকারকরা বলছেন, অন্য স্থলবন্দরের তুলনায় সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সুযোগ-সুবিধা অনেক কম। আর তাই ব্যবসায়ীরা অন্য বন্দর ব্যবহারে যতোটা আগ্রহ দেখান তার চেয়ে কম আগ্রহ দেখান সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে মালামাল আনা নোয়াতে। তাদের দাবি, বন্দরের কার্যক্রম চলছে জীর্ণশীর্ণ অবস্থায়। সুযোগ-সুবিধা নেই বললেই চলে। এখানে ধীরগতিতে চলছে কার্যক্রম।
তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের যুগ্ম কমিশনার মো. শাফায়েত হোসেন বলেন, গত ৪ মাসে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো ছিলনা। আমদানী রপ্তানী এর একটা প্রভাব পড়েছে। আর এই কারণেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থল বন্দরে কমেছে রাজস্ব আদায়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। আর রাজস্ব আদায় বাড়াতে ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার কথাও জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৬৪ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। গত অর্থ বছরে ১ হাজার ৭৮ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছিল ৯১৫ কোটি ৪ লক্ষ টাকা।
মো:হানিফ মেহমুদ/এমএ