Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

সিদ্বিরগঞ্জের জসিম ওরফে জসু: স্বৈরাচারী অপরাধের আমলনামা প্রকাশ

সিদ্বিরগঞ্জের জসিম ওরফে জসু: স্বৈরাচারী অপরাধের আমলনামা প্রকাশ

নারায়ণগঞ্জ সিদ্বিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর ক্ষমতার অপব্যবহারকারী জসিম ওরফে জসুর বিরুদ্ধে ভয়ংকর সব অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। সিদ্বিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি ইয়াসিন মিয়ার চাচাতো ভাই এই জসু মিয়া দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, জালিয়াতি, দুর্নীতি ও নির্যাতনের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন অভিযোগের পাহাড়।

ভুক্তভোগীরা জানান, জসু ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে অসংখ্য অপরাধ চালিয়ে গেছেন। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পদ দখল, এবং স্থানীয় মানুষের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো তার অপরাধের মধ্যে অন্যতম।

এক ব্যবসায়ী মক্তার হোসেনের অভিযোগ, ২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট জসু ও তার গুণ্ডাবাহিনী তাকে অপহরণ করে মৌচাক এলাকায় নিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা জানালে তাকে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে জসু মিয়া তার চাচাতো ভাই হাজি ইয়াসিন মিয়ার ছত্রছায়ায় থেকে সিদ্বিরগঞ্জ থানা ও নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন স্থানে প্রভাব খাটিয়ে অপরাধ চালিয়ে যান। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমাবেশ, মিটিং ও মিছিলের খরচ জোগাতে তিনি জোরপূর্বক অর্থ সংগ্রহ করতেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী একসময় নীরব থাকলেও এখন ফুঁসে উঠেছেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর জসু পাঁচ মাস আত্মগোপনে ছিলেন। তবে সম্প্রতি তিনি আবার এলাকায় ফিরে এসে দলীয় নেতাকর্মীদের একত্রিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, তিনি পুরনো প্রভাব ফিরে পাওয়ার জন্য পুনরায় তৎপর হয়েছেন।

সিদ্বিরগঞ্জ ২  নং ওয়ার্ডের শান্তিপ্রিয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। তাদের অভিযোগ, জসু মিয়া আবারও এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেন। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক হত্যা মামলাসহ অন্যান্য গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি বুক ফুলিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

এলকার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা প্রাশাসনের প্রতি আকুল আবেদন করে বলেন , জসু মিয়া এবং তার সহযোগীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়। তারা বলেন, “আমরা কি এই স্বৈরাচারী অপরাধীর হাত থেকে মুক্তি পাবো।

হাসান আহমেদ/এমএ

Exit mobile version