Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

এক প্রতিবন্ধী পপকর্ন ভাজা বিক্রেতার জীবন আলেখ্য

এক প্রতিবন্ধী পপকর্ন ভাজা বিক্রেতার জীবন আলেখ্য

রুহুল আমিন

মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি: ব্রীক ফিল্ডে মাটির গাড়ীতে কাজ করতেন রুহুল আমিন। সেদিনও মাটির গাড়ীতেই ছিলেন। সে সময় বিপরীত দিক থেকে আাসা একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয় তাদের ট্রাকের। এতে তার মাথার খুলি ভেঙ্গে যায়। সেই থেকে শরীরের একদিক অচল হয়ে পড়ে তার। একমাস হাসপাতালে ছিলেন। মাথার আঘাত থেকে বাম হাত বাম পা অকেজো হয়ে যায় রুহুল আমিনের। এতে মাটির কাজে অপারগ ও বেকার হয়ে যান তিনি।

অভাবের তাড়নায় তখন কিছুদিন পরের দুয়ারে হাত পেতে বেড়াতে হয় তাকে। কাজটিতে প্রচন্ড গ্লানি বোধ হয় তার। ফলে এ পপকর্ন ভাজা বিক্রিতে নামেন তিনি। এজন্য প্রতিদিন ভোরবেলা বের হন বাড়ী থেকে। বাসে নরসিংদী গিয়ে সেখান থেকে পাইকারী দরে এক/সোয়াশ’ পপকর্ন ভাজার প্যাকেট কিনে আনেন।

সেগুলো শিবপুর মনোহরদী পলাশ বেলাবো এলাকার জনবহুল স্থানে ঘুরে ঘুরে ফেরী করে বেচেন তিনি। এ ভাবে সকাল যায় দুপুর যায় বিকেল গড়ায় এরপর রাতও নামে। সারাদিন খেয়ে না খেয়ে পথে পথেই দিন কাটে তার।

প্যাকেটগুলো বিক্রি শেষ করে বাড়ী ফিরতে ফিরতে রাত হয়। রুহুল আমিনের বাড়ী কাপাসিয়ার চরসনমানিয়া গ্রামে। এক মেয়ে স্ত্রীসহ তিনজনের সংসার তার।জমাজমি কিছুই নেই।সেই থেকে আজ ২০/২২ বছর ধরে চলছে তার পপকর্ন ভাজার প্যাকেট ফেরী করে করে। এতে ৩/৪ শ’ টাকা আশ হয় রোজ। এ আয় দিয়ে সংসার সমুদ্র পাড়ি দিতে লড়ে চলেছেন তিনি।

সাইফুর নিশাদ/এস আই আর

Exit mobile version