রাজ উদ্দিন, নরসিংদী: বাঙালির অমর একুশে বইমেলার বাকি আর মাত্র তিনদিন। বইমেলার উদ্যানজুড়ে এখন স্টল তৈরির ব্যস্ততা। বাহারি কারুকাজে সাজানো হচ্ছে মূল মঞ্চ ও বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টল।
প্রতিবারের নেয় এবারও ভাষা শহীদদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৌর পার্কে নরসিংদী জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই এবার বইমেলা হবে ৯ দিনের।
মূল মঞ্চে থাকবে কবিতা আবৃত্তি, নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ ৯ দিনব্যাপী সেমিনার। পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য রয়েছে চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলার মাঠ প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করতে অর্ধশতাধিক কর্মী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে মূল মঞ্চ, প্যাভিলিয়ান ও ষ্টলের কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু বাকি রং-তুলির আচঁড়। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য অস্থায়ী ফুটপাত নির্মাণের কাজও চলছে দ্রুতগতিতে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে রাখা হয়েছে একাধিক মোবাইল টয়লেট। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, মেলা উদ্বোধনের আগেই সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়ে যাবে।
বই মেলা বাস্তবায়ন উপ-কমিটির সদস্য শাহিনুর মিয়া জানান, মেলা প্রাঙ্গণের কাজ ইতিমধ্যে ৯০ ভাগ সম্পূর্ণ হয়েছে। মোট ৮৬টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বইয়ের স্টল ৭৪টি, মৃৎশিল্প, পিঠাপুলি, খাবার সহ ১২টি স্টল বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এবার ২০টি স্টল জেলা পুস্তক প্রকাশনা সমিতির কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এবারের বইমেলায় অংশ নিচ্ছেন প্রথমা, জাগ্ররিতক, অনিন্দ্য, হরিতপত্র, পেন্সিল, শব্দ কথা, প্রিয়জন প্রকাশনা, মায়ান প্রকাশনা, নবকথা মত বিখ্যাত প্রকাশনা। মেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রতিদিনই থাকছে বিভিন্ন শিল্পী গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরো মেলায় সিসি ক্যামেরায় আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
জেলা প্রস্তুক ও প্রকাশনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুলাহ সরকার বলেন, এবাবের বইমেলা একটু ভিন্ন ও ব্যাপক ভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বইমেলার প্রাঙ্গণটি জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে চতুর্থদিক সজ্জিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমাদেরকে ২০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমরা আশাকরি বইমেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের ব্যাপক উপস্থিত থাকবে। এবার আমরা ১কোটি টাকার বই বিক্রির আশা করছি।