Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

যমুনার পানি সামান্য কমলেও বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে বানভাসি মানুষ

যমুনার পানি সামান্য কমলেও বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে বানভাসি মানুষ

ছবি: জনতার বার্তা

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলে যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি সামান্য কমলেও বাড়ছে অন্যান্য নদ-নদীর পানি। ফলে জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ধলেশ্বরী নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভূঞাপুরে প্রমত্তা যমুনা নদীর পানি ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। ধূ-ধূ বালু চরে এখন যে দিকে চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে পুরো চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত গ্রামগুলো পানিতে কানায়-কানায় পরিপূর্ণ। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে উপজেলার অসংখ্য ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে এবং অনেকের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। পোকা-মাকড়ের আতঙ্কে নিঘুম রাত্রীযাপন করছেন বানভাসি লোকজন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের কালিপুর, রুলীপাড়া, চন্ডিপুর, জয়পুর, পুংলীপাড়া, রেহাইগাবসারা ও ফজলের হাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরো চরাঞ্চল পানিতে ভরপুর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। চরাঞ্চলের অনেকে নৌকায় বা স্বজনদের বাড়ি ও উঁচু জায়গা আশ্রয় নিয়েছেন।

গাবসারার কালিপুর এর স্থানীয় লোকজনরা জানান দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছি। শিশু সন্তান ও বৃদ্ধদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছি। চরে সব জায়গায় পানি আর পানি। এছাড়া কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরে খাবারও নেই, দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপার করছি’।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন- ‘বন্যার্তদের মাঝে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন বিতরণ চলমান রয়েছে। এছাড়াও পানিবন্দিদের তালিকা সম্পন্ন। অতিদ্রুত তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা এবং ভাঙন কবলিত রাস্তায় যাতায়াতের জন্য আপাতত বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

সাজেদুল ইসলাম/এস আই আর

Exit mobile version