Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

“বাগেরহাটে মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি” প্রভাষককে বরখাস্ত সহ মামলা রুজু

"বাগেরহাটে মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি" প্রভাষককে বরখাস্ত সহ মামলা রুজু

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ফকিরহাটে শ্রেণিকক্ষে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে অবমাননাকর কথা বলার অভিযোগে প্রভাষক সুকুমার বাগচীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের বৈঠকের পর প্রভাষক সুকুমার বাগচীকে সাময়িক বরখাস্তের ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মুসা হোসাইন খান। সুকুমার বাগচী সরকারি ফকিরহাট ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা ডিগ্রি কলেজের চারুকলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।

মহনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করায় তার বিরুদ্ধে ওই কলেজের ছাত্রী, স্থানীয় জনতা, রাজনৈতিক দল ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা ব্যাপক বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে। এছাড়া ফকিরহাট মডেল থানায় ধর্ম অবমাননার মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে শান্ত করতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।

এদিকে, শিক্ষক সুকুমার বাগচীর শাস্তির দাবিতে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কামরুল ইসলাম গোরা। এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা আমীর এবিএম তৈয়াবুর রহমান। বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থী-জনতা।

মামলার এজাহার ও অভিযোগকারী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বাদশ শ্রেণির প্রাচীন সভ্যতার বিবর্তন বিষয়ে পাঠদানের সময় প্রভাষক সুকুমার বাগচী ইসলাম ধর্ম, মহানবী, ইসলামে পর্দা ও আরব দেশ সম্পর্কে কটুক্তি করেন যা ছাত্রীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। এ বিষয়ে ছাত্রীরা অধ্যক্ষের কাছে মৌখিক অভিযোগ করলে তিনি ওই শিক্ষককে ডেকে সতর্ক করেন। কিন্তু প্রভাষক সুকুমার বাগচীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় রোববার ও সোমবার ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে ১৪ অক্টোবর রাতে ফকিরহাট মডেল থানায় মামলা রজু হয়। মঙ্গলবার দুপুরে সরকারি ফকিরহাট ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা ডিগ্রি কলেজ গেটে ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী মোতায়ন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
সরকারি ফকিরহাট ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মুসা হোসাইন খান জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়া থানায় ধর্ম অবমাননার মামলা হয়েছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রশাসনকে সবধরণের সহায়তা প্রদান করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ধর্ম অবমাননার মতো সংবেদনশীল বিষয়ে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

এম এস খালিদ/এমএ

Exit mobile version