Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

ত্রিশালে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর হামলা, ৭ জনের নামে মামলা

ত্রিশালে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর হামলা, ৭ জনের নামে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ত্রিশালে দুর্বৃত্তদের হামলা থেকে স্বামীকে বাঁচতে গিয়ে আহত হয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা এক নারী। গতকাল সোমবার দুপুরে ত্রিশাল পৌরসভার ৭ নাম্বারওয়ার্ড দরিরামপুর এলাকায় হামলা-ভাঙচুর চালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ত্রিশাল থানার ওসি মোঃ কামাল হোসেন।গুরুতর আহত মারুফা বেগমকে (২৮) ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের একটি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বেশ কিছুদিন ধরে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এর জের ধরে স্থানীয় আব্দুল জলিলের নির্দেশে তার বাড়িতে কিছু যুবক হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। কিন্তু হামলার সময় তাকে বাসায় না পেয়ে কিশোর গ্যাং প্রধান বাবু মিয়া, তন্ময়, তোহা মিয়া, রতন মিয়া ও পারভেজসহ ১০-১২ জন তার অন্তঃসত্ত্বা শ্যালিকা মারুফা বেগম, তার স্বামী মো. রয়েল মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

রয়েল মিয়া বলেন, আমার বড় ভায়রা ভাই ও আমার সমন্ধি ঠিকাদার রফিকুল ইসলামকে কয়েকদিন ধরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল হামলাকারীরা। আমি এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকেও হুমকি দেয় তারা। এরই অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরে তারা আমার ওপর হামলা করলে আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে। আহত মারুফা বেগম বলেন, কিশোর গ্যাং প্রধান বাবু আমার বড় বোনের স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল।

পরে তারা বাড়িতে এসে তাকে খোঁজাখুঁজি করে। তাকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলা করে। আমার স্বামীকে মারার সময় ফেরাতে গেলে আমাকে পেটে লাথি ও নাকে লাঠি আঘাত করে। এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন রয়েল মিয়া। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল জলিল বলেন, “আমি কোনোভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই”। আমার সামনে বাবু হামলা করেছে। অন্যদের আমি চিনি না। অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর হামলা হয়, সেটা অবশ্যই ন্যাক্কারজনক ও বুঝতে পারিনি। প্রকৃত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। থানা মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতার করতে চেষ্টা চলছে।

আব্দুল হালিম সরদার/এস আই আর

Exit mobile version