Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

ধান লাগানোর রাতেই মই টেনে ৪ বিঘা জমির চারা নষ্ট

ধান লাগানোর রাতেই মই টেনে ৪ বিঘা জমির চারা নষ্ট

ছবি : জনতার বার্তা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধান লাগানোর দিন রাতেই ৪ বিঘা ৭ কাঠা জমির ধান নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার (২৯ জুলাই) রাত ২টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের রাহিগ্রাম এলাকায় এই জমির ক্ষেত নষ্ট করার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। এনিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন জমির মালিক।

জানা যায়, কয়েক বছর আগে শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের নামোজগন্নাথপুর দোভাগী গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে কাতার প্রবাসী জাহিদুল ইসলাম রাহিগ্রাম এলাকায় ফসলী জমি কিনেন। গত রবিবার (২৮ জুলাই) ৪ বিঘা ৭ কাঠা জমিতে ধান রোপন করেন জমির মালিক জাহিদুল ইসলামের বর্গাচাষীরা। পরে ধান রোপনের দিন রাতেই মই দিয়ে ধান নষ্ট করে দুর্বৃত্তরা। 

জমির মালিক জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রবাস জীবনে কয়েক বছরে অনেক কষ্টে জমানো টাকা দিয়ে ৪ বিঘা ৭ কাঠা জমি কিনেছিলাম। জমি কেনার পর থেকেই মালিকানা নিয়ে স্থানীয় এক পরিবারের সাথে দ্বন্দ্ব চলছে। ধান লাগানোর রাতেই জমিতে মই টেনে সব ধানের চারা নষ্ট করেছে। আমার ধারনা, জমি নিয়ে ঝামেলার সূত্র ধরেই গভীর রাতে এই ক্ষতি করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, সকালে এসে জমির অবস্থা দেখে হতভম্ব হয়ে যায়। পরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিতে গেলে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে আমাদের সামনে ফোন দিয়ে বিষয়টির সমাধান করার জন্য বলেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

কৃষক তহিদুল ইসলাম জানান, আগের দিন সন্ধ্যার আগে জমিতে ধানের চারা রোপন করে বাসায় যায়। পরদিন সকালে জমিতে পানি দিতে এসে দেখি ধানের চারা সব নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। মই টেনে এসব রোপা নষ্ট করা হয়েছে। এসব চারা থেকে আর ধান চাষাবাদ করা সম্ভব নয়। আবার নতুন করে চারা রোপন করতে হবে। 

স্থানীয় বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বলেন, আগের দিন চারাগুলো রোপন করে যায় শ্রমিকরা। সেদিনই গভীর রাতে কে বা কারা এসে মই টেনে সব ধানের চারা নষ্ট করে দেয়। সকালো উঠে দেখি সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। বিরোধ বা পূর্ব শত্রুতা থাকতেই পারে। তাই বলে রাতের অন্ধকারে এমন গর্হিত কাজ করা উচিত হয়নি। আমরা চাই, এর সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। 

পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, জমিতে মই দিয়ে ধানের চারা নষ্ট করার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হানিফ মেহমুদ/এস আই আর

Exit mobile version