Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে

পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে

ছবি: জয়নাল আবেদিন জয়

জয়নাল আবেদীন, জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে জনবল সংকটের মধ্যদিয়ে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস সুত্রে জানা যায়, অর্ধেক কর্মকর্তা/কর্মচারী দিয়েই চলছে সেবা কার্যক্রম। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস ও ৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য সর্বমোট ৬৭টি পদের মধ্যে শুন্য পদই আছে ৩৫টি। প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন করে সাব-কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিক, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, ফার্মাসিস্ট, পিয়ন ও আয়া সহ ৬’টি পদ আছে।

সরেজমিনে দেখাযায়, প্রতিটি কেন্দ্রে ৬’টি পদের মধ্যে ২/৩ জন করে জনবল দিয়েই চলছে সেবা কার্যক্রম। 

কেন্দ্রগুলোতে দ্বায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিরা বলছেন, জনবলের অভাব থাকলেও সেবা নিতে আসা রোগীদের বিনা চিকিৎসায় ফেরৎ দেই না। জনবলের অভাবে আমাদের যেমন পরিশ্রম বেশী করতে হচ্ছে তবে সব পদের লোক থাকলে সেবার মানটা আরো বৃদ্ধি করা যেত বলেও জানান তারা।

উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেখা যায়, ৫০ থেকে ৬০ জন ছোটবড় নারী-পুরুষ লাইন ধরে আছে চিকিৎসা ও ঔষধ নেওয়ার জন্য। কেন্দ্রটির উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ্ বিন মোকছেদ ও পিয়ন মোঃ রেজাউল করিম ২’জন মিলে এতগুলো রোগীর সেবা দিচ্ছেন। মেডিকেল অফিসার মোকছেদ সেবা নিতে আসা রোগীর রোগের কথা শুনছেন চিকিৎসা পত্র দিচ্ছেন আবার নিজেই ঔষধ দিচ্ছেন।

পিয়ন রেজাউলকে দেখা যায়, এলোমেলো রোগীদের লাইন ঠিক করা সহ সিরিয়াল মেন্টেন করতেই হিমশিম খাচ্ছেন। ধরঞ্জী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশের গ্রাম শ্রীমন্তপুর থেকে পবন পালের স্ত্রী ৭’মাসের পেটে বাচ্চা শ্রী অনিমা এসেছে চিকিৎসা নিতে। অনেক ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর সে ঔষধ পেয়েছে বলে জানান অনিমা। সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ১০ মাসের শিশু সন্তান তানসিফ আহম্মেদকে কোলে নিয়ে গোয়াপাড়ার শাহিদা খাতুন লাইনে দাঁড়িয়ে আছে সন্তানকে ডাক্তার দেখানোর জন্য।

কেন্দ্রটিতে সেবা নিতে আসা ব্যাক্তিরা জানান, হাসপাতালে লোকজন কম থাকার জন্য ডাক্তার দেখাতে ও ঔষধ পেতে আমাদের অপেক্ষা করতে হয়।

উপজেলার আটাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার মোঃ তৌফিক এলাহী বলেন, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা তারা তো গর্ভবতী মায়েদের শুধু সেবা দেন। আমি ও একজন আয়া ২’জন মিলে গড়ে প্রতিদিন শ’খানেক রোগীর সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আটাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশাপাশি আয়মারসুলপুর কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার না থাকায় সপ্তাহে ২’দিন অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালন করছি বলেও জানান তিনি।  

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সৈয়দ মোঃ নাঈম বলেন, উপজেলা অফিস ও ৮’টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জনবল সংকটের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

/এমএ

Exit mobile version