সিয়াম রহমান, ঈশ্বরদী (পাবনা): পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজির ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক নিহত এবং একাধিক যাত্রী গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে পাবনা-পাকশী আঞ্চলিক সড়কের ঈশ্বরদীর সাহাপুর মসজিদ মোড়ে এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আহতদের মধ্যে চালকসহ ৩ যাত্রীর অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
আজ দুপুর আনুমানিক ২:৩০ এ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যবরণ করে, সিএনজি চালক মোঃ শরীফ ( ৪০)। তিনি ঈশ্বরদীর আওতাপাড়া এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের জল্লাদখালিপাড়ার মজিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মাদ মিল্টন, ঈশ্বরদীর মহাদেবপুর গ্রামের সোহরাব প্রামানিকের ছেলে শরীফ প্রামানিক, পাবনার দাপুনিয়ার আজাহার প্রামানিকের ছেলে উজির হোসেন, প্রাইভেটকারের যাত্রী পাবনা সদর থানার বাগচিপাড়ার আব্দুল মান্নানের মেয়ে আখি খাতুন ও কামালপুর গ্রামের মোজাম্মেল হক ফকিরের ছেলে মোঃ সুমন।
থানা ও ফায়ার সার্ভিস সুত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় পাকশীর রূপপুর থেকে সিএনজিতে ৬ জন যাত্রী নিয়ে আওতাপাড়ায় যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে একটি ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে সড়কের মাঝে চলে আসে। এ সময় আওতাপাড়া থেকে রূপপুরের দিকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে সিএনজিটির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম দুর্ঘটনার খবর শুনে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে অভিভাবকহীন এক রোগিকে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করে ভূয়সী প্রশংসায় ভাসছেন। এর আগেও বেশ কয়েকটি ঘটনার কারণে সবাই বর্তমান ওসি রফিকুল ইসলামকে মানবিক ওসি হিসেবে মনে করছেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। আমি মানবিক দিক বিবেচনা করে গুরুতর আহত অভিভাবকহীন রোগিকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করেছি। পুলিশরা সব সময়ই ভাল কাজের সঙ্গে থাকে। অসহায় ও বিপদগ্রস্থদের সহযোগিতা করে। আমিও তাই করেছি।
এসএ