Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে ভিক্ষার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে ভিক্ষার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

আজাদ মিয়া

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে ভিক্ষুকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য আজাদ মিয়ার বিরুদ্ধে।

উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের মীরশংকর গ্রামের নিছমারুন গত ৭ই জুলাই মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে আজাদ মিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার অনুলিপি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।

লিখিত অভিযোগের বরাতে থেকে জানা যায়, ইউপি সদস্য আজাদ মিয়া ভূকশিমইল ইউনিয়নের মীরশংকর গ্রামের অছির আলী স্ত্রী নিছমারুনের কাছ থেকে উত্তর কৌলা গ্রামে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্ধ দেওয়ার জন্য ৪৫ হাজার টাকা দাবি করেন। নিছমারুনের স্বামীর ভিক্ষার জমানো টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা তুলে দেন মেম্বার আজাদ মিয়ার হাতে। বাকি ১০ হাজার টাকা ২ মাস পর পরিশোধ করার কথার মাধ্যমে সমঝোতা হয়।

সেই টাকা পেয়ে মেম্বার আজাদ ২৩নং ঘরের চাবি তুলে দেন নিছমারুনের হাতে। এদিকে নিছমারুনের ভাইয়ের অসুস্থতার কারণে তিনি ঘরে তালা দিয়ে তাকে দেখতে যান। ফিরে এসে দেখেন তার ঘরের তালা ভেঙে ছালই বেগম নামক একজন বসবাস করছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে আজাদ মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।

এদিকে ঘরের তালা ভেঙে ছালই বেগমকে ঘরটি দেওয়ার সময় ঘরে থাকা নিছমারুন ও তার স্বামীর ভিক্ষা করে জমানো ১১ হাজার ৩শ টাকা বাক্স ভেঙে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। নিছমারুনের লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে কৌলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে গেলে ২৩ নং ঘরটি ছালই বেগমের দখলে এবং ঘরে ছালই বেগমের মেয়েকে পাওয়া যায়।

অভিযুক্ত মেম্বার আজাদ মিয়া অভিযোগ সম্পর্কে তিনি অস্বীকার করে বলেন, গত নির্বাচনে আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ষড়যন্ত্র করে অভিযোগ করিয়েছে। আমি ওই নারীকে চিনি না। তদন্তক্রমে অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে যে কোনো শাস্তি আমি মাথা পেতে নেব।

উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম মিঠু বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে কিছু জানা নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, অভিযোগের একটি অনুলিপি পত্র পেয়েছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযোগটি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করবেন। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিমির বনিক/এস আই আর

Exit mobile version