Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে প্রত্যাহারের দাবি

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে প্রত্যাহারের দাবি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে উপাধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষককের পদত্যাগ ও বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় ছাত্রদের আন্দোলনে বাধা দেওয়া সহ নানা কারণে শিক্ষকদের গণক্ষমা চাওয়ার দাবিও তোলেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা অধ্যক্ষ প্রফেসর দেবাশীষ দেবনাথের স্বেচ্ছাচারীতা ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসৈজন্য আচরণের জন্য পদত্যাগের দাবি জানান। পরে উপাধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৫জুলাই থেকে শুরু হয়ে আসা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রকাশ্যে বিরোধীতা করে, সাধারণ ছাত্র জনতাকে তাদের ন্যায্য অধীকার আদায়ের আন্দোলন থেকে বাধা সৃষ্টি করেন আপনার কলেজের কিছু নামধারী শিক্ষক। এর সুস্পষ্ট ন্যায় বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজার এর পক্ষ থেকে ৮ দফা বৈধ দাবি পেশ করছি। আগামী ৪৮ ঘন্টার ভিতরে আমাদের এই দাবি সমূহ মেনে নিয়ে ন্যায়ের পক্ষে থাকার নিবেদন জানাচ্ছি।

দাবিগুলো হলো, অধ্যক্ষ প্রফেসর দেবাশীষ দেবনাথ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় উনাকে সবার সামনে গণক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিয়াউর রহমানকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক বিষ্ণুপদ রায়কে স্বেচ্ছায় সম্পাদকীয় দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে হবে। অনতিবিলম্বে শিক্ষক সমিতি ভেঙ্গে দিতে হবে। কারণ এই শিক্ষক সমিতি নির্বাচন বহির্ভূত, প্রিন্সিপাল স্যারের একক পছন্দের মানুষ দ্বারা গঠিত। মৌলভীবাজারে অনুষ্ঠিত শান্তিপূন কর্মসূচিতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর যারা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আক্রমন করেছে তাদের চিহ্নিত করে শান্তির আওতায় এনে কলেজ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।বিএসসি অনার্সের রসায়ন বিভাগ এবং উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার সময়ে প্রকাশ্যে মার্ক দেওয়ার নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। কলেজের কর্মচারীদের খারাপ ব্যবহারের কারণে অনেক শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হয়, এরকম কর্মচারীদেরকে চিহ্নিত করে বরখাস্ত করতে হবে। সম্প্রতি প্রকাশিত কলেজ সন্দীপন যেন কলেজের কোনো সন্দীপন নয় এটা যেন প্রিন্সিপাল স্যারের ব্যাক্তিগত ছবির এলবাম। এখানে সব ডিপার্টমেন্টের ছাত্রদের ছবি দেয়া হয়নি এবং সন্দীপন তৈরীর সময় ছাত্র প্রতিনিধি রাখা হয়নি। আমরা চাই কলেজের প্রত্যেক সামাজিক কাজে এবং ম্যাগাজিন সহ অন্যান্য সেবামূলক কাজে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সুযোগ দেয়া হোক।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজারের সমন্বয়ক আহবাব আল হামিদি জানান, সাধারণ ছাত্র জনতার এই বৈধ ৮ দফা দাবি মেনে নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন। আমাদের এই দাবিগুলো আগামী ৪৮ ঘন্টার ভিতর না মানা হলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ পরবর্তী পদক্ষেপ ও কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হবো।

তিমির বনিক/এস আই আর

Exit mobile version