Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

দলে দলে বাসস্ট্যান্ডে আসছে মানুষ, মহাসড়কে নেই যানবাহন

ঢাকা: ঈদ যাত্রার পঞ্চম দিনে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত যাত্রীর চাপ ছিল না সাভারের মহাসড়ক ও বাসস্ট্যান্ডগুলোয়। এছাড়া মহাসড়কেও ছিল না তেমন যানবাহন।

বেলা বাড়ার সাথে সাথে মহাসড়ক ও বাসস্ট্যান্ডগুলোয় বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় বাড়ছে। কিন্তু তেমন যানবাহনের দেখা মিলছে না।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নবীনগর, বাইপাইল, শ্রীপুর ও জিরানীবাজার বাসস্ট্যান্ড ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বেশিরভাগ পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় সোমবার যাত্রীর চাপ সর্বোচ্চ।

গলির রাস্তা ও পার্কিংগুলোয় পর্যাপ্ত যানবাহন থাকলেও মহাসড়কে সেভাবে চোখে পড়ছে না। তবে, সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, দুপুর বা দুপুরের পর থেকে মহাসড়কে যাত্রী ও যানের চাপ বাড়বে।

পরিবারসহ বেশ কয়েকজন সহকর্মী নিয়ে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল বাস স্ট্যান্ডে যাচ্ছেন পোশাক কর্মী আমির হোসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর ১২টায় আমাদের কারখানা ছুটি হওয়ার কথা। আমরা ম্যানেজমেন্টের লোকজনকে বলে একটু আগে বের হয়েছি। কারণ, ঘণ্টা খানেকের মধ্যে অসংখ্য যাত্রী বাসস্ট্যান্ডে জায়গা করে নেবে। তাই ভোগান্তি এড়াতে কৌশল করেছি। আমাদের বাস আগে একজন এসে ঠিক করেছেন। আমরা শুধু বাসে উঠবো আর রওনা করবো। সড়ক এখনো ফাঁকা রয়েছে। একটু পরেই যানজট হতে পারে। প্রায় সব পোশাক কারখানা ছুটি হয়েছে।

অপর যাত্রী আকলিমা বলেন, আমি বেলা সাড়ে ১১ টায় বাসা থেকে বের হয়েছি। বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি গাড়ি রয়েছে অনেক। মহাসড়কে গাড়ি চলাচল করছে সামান্য। আমি এসেই গাড়ি পেয়েছি। গাড়ির কোনো সমস্যা নাই। আশা করছি যানজটও পাবো না। দুপুরের পরে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

বাস চালক শহিদুল বাংলানিউজকে বলেন, বাস যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে। মহাসড়কে তেমন যানবাহন নেই। দুপুরের পর যাত্রী ভরে অনেকেই গন্তব্যে রওনা হবে। তখনই চাপ বাড়বে। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাবে।

সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) আইয়ুব আলী বাংলানিউজকে বলেন, বেলা গড়ার সাথে সাথে সড়কে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। দুপুরের পর যানবাহনের চাপও বাড়বে। আমরা প্রস্তুত। এবার ভোগান্তিহীন ও নির্বিঘ্ন ঈদ যাত্রার আশা করছি আমরা।

Exit mobile version