Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

কুবি ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও মহানবীকে অবমাননা করে পোস্ট ও কমেন্ট করার অভিযোগ উঠেছে৷ এ নিয়ে তাকে নিন্দা জানানোসহ শাস্তিও দাবী করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের গ্রুপগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে বেশ আলোচনা সমালোচনার তৈরি হয়। 

ধর্ম অবমাননার  দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। তার নাম স্বপ্নীল মুখার্জি। স্বপ্নীলের বাড়ি যশোরে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বপ্নীলের নিজস্ব ফেসবুক একাউন্ট থেকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি অনির্দিষ্টভাবে নামহীন ছোটদের বর্ণমালা শেখার একটি বইয়ের একটি পৃষ্ঠার ছবি নিয়ে ক্যাপশন দেন- “ছবি তো গিটারের, গান কীভাবে আসলো? ছবি কই আকছে। এটা তো রং করছে। আতশবাজি ফোটানোর সাথে রং তামাশার সম্পর্ক কি?”

এছাড়াও ঐ পোস্টের মন্তব্যের ঘরে আসিফ আহমেদ নামে একজনকে প্রতিউত্তর দিয়ে বলেন, “হযরত যেখানেই যেত যুদ্ধ করতো। বদর না ফদর আরো কত কি নাম আছে। এলাকার মানুষগুলাকে একটা দিনও শান্তি দেয়নি।”

একই ব্যক্তিকে আবার বলেন, “এজন্যই মুসলিমদের সাথে কথা বলি না কারণ তাদের ব্রেইন নাই। আফগানিস্তান নিয়ে কথা বলতে বলতে হিন্দু ধর্মের দেবতা টেনে নিয়ে এসে বলে টপিকের মাঝে থাকতে। গা-ঞ্জা খেতে ইচ্ছা করলে রাতে খাবেন। দিনের বেলায় না। ধন্যবাদ।”

এ ব্যাপারে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি৷ এক্ষেত্রে বিভাগ কোনো আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নিতে পারবে না৷ যা ব্যবস্থা সব প্রশাসনই নিবে।’

সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ কুবির সাধারণ সম্পাদক দীপ চৌধুরী বলেন, ‘সে যে কাজটি করেছে তা নিন্দনীয় ও জঘন্য একটা কাজ৷ সংগঠনের সাথে তার এই ধরনের কাজের কোনো সম্পর্ক নাই। তবে এটি খুবই সংবেদনশীল একটা বিষয়। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কাল (বুধবার ) সকাল ১১ টায় একটি মিটিং ডেকেছি। সেই মিটিংয়ের আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও বিষয়টা জানিয়ে রেখেছি।’

আবু হানিফ/এমএ

Exit mobile version