Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

প্রধানমন্ত্রীর ‘অপমানজনক বক্তব্যের’ প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল

প্রধানমন্ত্রীর 'অপমানজনক বক্তব্যের' প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: জনতার বার্তা

কুবি প্রতিনিধি: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘অপমানজনক বক্তব্য’ প্রত্যাহার এবং এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ৩টায় সাম্প্রতিক সময়ে নাম দেয়া ছাত্র আন্দোলন চত্ত্বর থেকে মূল ফটক হয়ে মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।

এই সময় তারা ‘তুই কে, আমি কে, রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে, সরকার সরকার’, ‘একাত্তরের রাজাকার, ‘গর্জে উঠ আরেকবার’, ‘তুই বেটা রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘কোটাপ্রথার বিরুদ্ধে আগুন জ্বালো একসাথে’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

এই বিষয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুবি শাখার সমন্বয়কদের একজন মো. সাকিব হোসাইন বলেন, ‘আমরা গতকাল প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে কোটা আন্দোলনকারীদের একপ্রকার অবমাননা করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে আমরা এই বিক্ষোভ মিছিল করেছি।’

এইসময় তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকেরা যখন আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন তখন আমরা উনাদের অধিকারের কথা চিন্তা করে আমরা উনাদের পাশে ছিলাম। এখন এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরার অধিকারের জন্য আপনারাও আমাদের পাশে দাঁড়াবেন।’

উল্লেখ্য, গত রবিবার বিকেলে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এতো ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না।

তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতি কোটা পাবে না তাহলে কী রাজাকারের নাতি-পুতিরা কোটা পাবে? সেটা আমার প্রশ্ন। দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন। মুক্তিযোদ্ধারা খেয়ে না খেয়ে কাদামাটি মাখিয়ে তারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল বলেই আজ দেশ স্বাধীন। আজ সবাই বড় বড় পদে আসীন। নইলে তো ওই পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেয়ে চলতে হতো।’

আবু হানিফ/এস আই আর

Exit mobile version