নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও আবাসিক হলসমূহ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) ইউজিসি-র সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত পত্রমূলে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো: হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকল শিক্ষার্থীকে ১৭ জুলাই ২০২৪ সকাল ১১.০০টার মধ্যে আবাসিক হল পরিত্যাগ করে তাদের স্থায়ী ঠিকানায় ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের নির্দেশক্রমে এই ঘোষণা কার্যকর করা হয়েছে বলে জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে বিষয়টি নজরে রেখে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষা কার্যক্রম ও হল বন্ধের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আদনান সানি বলেন, “যাদের বাসা অনেক দূরে তারা একদিনের মধ্যে হঠাৎ করে কেমন করে বাসায় যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় এমন হটকারী সিদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা জানাই। আর্থিক বিষয়, সময় সাপেক্ষ, বিবেচনা করা উচিত ছিল।”
আরেক শিক্ষার্থী রেজাউন নবি অন্তর বলেন, “যাদের বাসা উত্তরবঙ্গে, বাড়িতে ফেরার পথে তাদের কোন ক্ষতি হলে সেই দায় কি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নেবে? শুধু উত্তরবঙ্গ না, কোন ছাত্র-ছাত্রীর ক্ষতি হলে অবশ্যই এই দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে নিতে হবে।”
শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ বলেন, “এটা যদি একটা পাবলিক ইউনিভার্সিটি হয় তাহলে ইউজিসির নির্দেশে কিভাবে বন্ধ হয়ে যায়? আবার কর্ম বিরতিতে থাকা প্রশাসনের লোকগুলো সাইন করে এটা পাশ করে কিভাবে?”
এদিকে, বঙ্গবন্ধু হল প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদারের কাছে হল খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে, এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হবে এবং অনেকেই যথাসময়ে বাসায় ফিরতে পারবে না। তারা হল খোলা রাখার জন্য প্রভোস্টের কাছে অনুরোধ করেছেন। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ফলে নতুন করে সেশন জটে পড়ার আশংকা করছেন তারা।
মো. সাইফুল ইসলাম/এস আই আর