Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

সিফাতকে আটক করে মামলা দেওয়ার ঘটনায় সহপাঠীদের প্রতিক্রিয়া

সিফাতকে আটক করে মামলা দেওয়ার ঘটনায় সহপাঠীদের প্রতিক্রিয়া

সিফাত

যবিপ্রবি প্রতিনিধি: গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ খেলাধুলা করার সময় ডিবি পুলিশ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাতসহ তার ৩ বন্ধুকে তুলে নিয়ে যায়। এবং বুধবার (৩১ জুলাই) তাদের মধ্যে ৩ জনকে মাগুরা থানায় চালান করে দিয়ে হয়।

যবিপ্রবির প্রক্টর ড. মোঃ হাফিজ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়ার দাবি তুললেও উপর মহলের চাপ থাকার কথা বলে চালান করে দেয়া হয় বলে জানা যায়। সিফাতকে আটকের পরিপ্রেক্ষিতে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা তীব্র নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীরা দাবি, সিফাত নির্দোষ এবং তাকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে তার সহপাঠী এবং যবিপ্রবির শিক্ষার্থীর কিছু বক্তব্য তুলে ধরা হলো:

সিফাতের সহপাঠী সজীব ইসলাম খান জানান, “আমি সিফাতের সাথে এক বছর যাবত একই বিভাগে পড়ালেখা করছি। আমাদের সহপাঠী, বড় ভাই বা শিক্ষকরা কেউই বলতে পাড়বেনা সে কোনো ধরণের ছাত্র রাজনীতির সাথে জরিত। বাসার পাশে মাঠে বসে থাকাই কি তার অপরাধ? স্বাধীন দেশের পরাধীন নাগরিক আমরা।”

সিফাতের সহপাঠী মাহ্জাবিন রহমান অর্থি জানান, “আমার প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে ওকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেসে, পরে যখন জানতে পারলাম যে ওকে জেলে পাঠানো হয়ছে বিনা কারনে তখন খুব অবাক হয়েছিলাম, কিন্তু অসহায়ও লাগতেছিল কিছু তো করতেও পারতেছিনা আমরা।”

ইস্তিয়াক হোসেন রাব্বি সিফাতের সহপাঠী প্রশাসনের কাছে জানতে চায়, “আমার বন্ধু সিফাত আজ জেলে কেন? কি করছিলো সে আপনাদের? তার অপরাধ শুনতে চাওয়ায় নিশ্চুপ ছিলেন কেন তখন? স্টুডেন্টদের কি ঘরের বাইরে যাওয়ার স্বাধীনতা নাই এইদেশে?”

উল্লেখ্য, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ায় তাদের কে তুলে নিয়ে য়ওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ এবং তাদেরকে কোর্ট থেকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই ছড়িয়ে নিয়ে আসতে পারবে তার পরিবার।

সেফা খানম/এস আই আর

Exit mobile version