Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

এক দফা দাবিতে উত্তাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, মহাসড়কে অবস্থান

এক দফা দাবিতে উত্তাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, মহাসড়কে অবস্থান

ছবি: জনতার বার্তা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: দেশব্যাপী বৈষম্য ও নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে সাথে একাত্মতা জানিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের একাংশ। নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে সমাবেশের ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক এমদাদুল হুদা।

রবিবার (৪ আগষ্ট) সকাল ১১টায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা চত্বরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে অংশ নেন অধ্যাপক এমদাদুল হুদা সহ, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান (কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ) এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে এক দফা এক দাবিতে স্বৈরাচারি সরকারের পদত্যাগের স্লোগান দেন তারা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এমদাদুল হুদা। তিনি বলেন, একবার যখন মৃত্যুর ভয় কেঁটে যায়, তখন আর ভয় দেখানো যায় না। এই মুহুর্তে ছাত্রদের জয় অনিবার্য। স্বৈরাচারি সরকার নির্বিচারে ছাত্রজনতার উপর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকার সময় নেই।

অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় তিনশো ছাত্রজনতাকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩২ জন শিশু। এই শিশুদের দেখলে আমাদের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে, আমাদের ঘুম হয় না। আমাদের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছিলো বৈষম্য ও নিপিড়ন বিরোধী আন্দোলন। এবং এটাকে উষ্কানি দিয়ে চলেছে হত্যা ও নিপিড়ন। আমরা প্রতিটি হত্যাকান্ডের আন্তর্জাতিক কমিউনিটির মাধ্যমে বিচার দাবি করি।

এদিন আন্দোলনরত ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুটি আল্টিমেটাম দেন। তারমধ্যে প্রথমটি হলো আগামীকাল (সোমবার) সকাল ১১টার মধ্যে সকল হল খুলে দিতে হবে। না দিলে তালা ভেঙে ছাত্ররা হলে প্রবেশ করবে। দ্বিতীয়টি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোপ্রকার ছাত্ররাজনীতি চলবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ শেষে ছাত্ররা মার্চ করে ত্রিশাল জিরোপয়েন্টে এগিয়ে যায় এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় স্বৈরাচারি সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবির স্লোগানে ধ্বনিত হয় জিরোপয়েন্ট।

সাইফুল ইসলাম/এস আই আর

Exit mobile version