জাবি প্রতিনিধি: নারিকেল জিঞ্জিরা (সেন্টমার্টিন) দ্বীপে যাতায়াত ও অবস্থানের উপর আরোপিত সব ধরনের সরকারি বাধা-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
আজ (মঙ্গলবার) ৩রা ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) টিএসসিতে বিকাল সোয়া ৪টায় এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি পরিবেশ উপদেষ্টার নির্দেশে সেন্টমার্টিনে যাতায়াত ও অবস্থানের উপর বেশ কিছু বাধা নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এতে সার্বভৌমত্বগত, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও দ্বীপবাসীর মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ মোট চার ধরনের ঝুঁকি তৈরি করবে।
নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপটি ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর জায়গা। ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যেই মিয়ানমার ও আরাকান আর্মি দ্বীপটিকে একাধিকবার তাদের বলে দাবি করে সরকারি ম্যাপেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এখানে যাতায়াত ও অবস্থানে বাধা নিষেধের দ্বীপের ১০-১২ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা ও দেশের পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দ্বীপবাসী দ্বীপটি ত্যাগ করলে পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারের মদ আরাকান ও ভারতীয় ছেলেদের এখানে আনাগোনা বেড়ে যাবে এবং সুযোগ পেলে দ্বীপটি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালাবে।
এছাড়াও নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপ কেন্দ্রিক পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাংলাদেশি ভ্রমণপ্রেমীরা অবকাশ যাপনে বিদেশে যাবে ফলে পর্যটন খাত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পর্যটন বন্ধ হলে দ্বীপবাসী বাধ্য হয়ে কোরাল কেটে বিক্রি করা শুরু করবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ১৩ ধারানুযায়ী মৌলিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এছাড়া বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ীও এটি মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। অতএব, দেশের অখণ্ডতা, পর্যটন শিল্প, পরিবেশ ও দ্বীপবাসীর মৌলিক ও মানবাধিকার রক্ষার্থে নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপ ভ্রমণ, অবস্থান ও চলাফেরার অবাধ স্বাধীনতা নিশ্চিতে সকল বাধা-নিষেধ তুলে নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীগোষ্ঠী কর্তৃক ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাবি শিক্ষার্থী মুহম্মদ মাশরুফ আহমদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক জিয়াউল হক, মুহম্মদ মশিউর, রাসেল, আরিফুল খবীরসহ আরো অনেকে।
মোঃ আরিফ হোসেন/এমএ