Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

চরাঞ্চলের কৃষকদের জন্য গাজর-টমেটো চাষের প্রশিক্ষণ দিলো বাকৃবি অধ্যাপক

চরাঞ্চলের কৃষকদের জন্য গাজর-টমেটো চাষের প্রশিক্ষণ দিলো বাকৃবি অধ্যাপক

বাকৃবি প্রতিনিধি: গাইবান্ধার চরাঞ্চলের কৃষকদের জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মো. হারুন অর রশিদ বিভিন্ন রঙের দেশি ও বিদেশি গাজর ও টমেটো চাষাবাদ নিয়ে মাঠ দিবস এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করেছেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি কৃষকদেরকে দেশীয় আবহাওয়ায় বিদেশি গাজর ও টমেটোর ফলন, চাষাবাদ পদ্ধতি এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করেন।

অধ্যাপক বলেন, দেশে শুধু কমলা রঙয়ের গাজর পাওয়া গেলেও আমরা লাল, সাদা, হলুদ ও বেগুনি রঙয়ের বিভিন্ন বিদেশী জাতের গাজর দেশে চাষের উপযোগী করে তুলেছি। লাল, কমলা, হলুদ ও বেগুনি রঙয়ের হওয়ায় গাজরগুলোতে ভিটামিন এ, অ্যান্থোসায়ানিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

উচ্চফলনশীল এসব জাতের গাজর চাষ সম্পর্কে অধ্যাপক ড. হারুন বলেন, ৭০ থেকে ৮০ দিনেই গাজরগুলোর ফলন পাওয়া যায়। দেশীয় গাজরের তুলনায় গাজরের জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় আড়াই থেকে তিনগুণ। বিদেশী জাতের এই গাজরগুলো দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন খরা প্রবণ এলাকায় মাঠ পর্যায়ে চাষ করে সফলতা পাওয়া গেছে।

চরাঞ্চলে ফলন সম্পর্কে অধ্যাপক বলেন, আমরা যে রঙিন গাজর ও টমেটো বীজ দিয়েছিলাম তা চাষ করে কৃষকেরা অনেক লাভবান হয়েছে এবং কিছু জাতের একেকটি গাজর ও টমেটো প্রায় ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজন হয়েছে।

এসময় চরাঞ্চলের কৃষকদের মাঝে প্রায় আড়াই মন উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন গাজর ও টমেটো বিতরণ করা হয়। ওইসময় গাইবান্ধা সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শাহাদৎ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

গাইবান্ধা সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শাহাদৎ হোসেন বলেন, “চরের কৃষকদের জন্য রঙিন গাজর চাষ একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এটি শুধু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ নয়, বাজারদরও তুলনামূলক ভালো। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অধ্যাপকদের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ কৃষকদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। আমরা আশা করছি, তারা এই নতুন প্রযুক্তি ও চাষ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে অধিক লাভবান হবেন। কৃষি বিভাগও তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”

কৃষক রুহুল আমিন বলেন, “আগে শুধু সাধারণ গাজর চাষ করতাম, কিন্তু রঙিন গাজরের চাহিদা ও দাম বেশি শুনে আগ্রহী হয়েছি। প্রশিক্ষণ পেয়ে চাষ পদ্ধতি ভালোভাবে বুঝতে পারলাম।”

আসিফ ইকবাল/এমএ

Exit mobile version