Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

ধর্ষণসহ আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে ছাত্রদলের মানববন্ধন

ধর্ষণসহ আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে ছাত্রদলের মানববন্ধন

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্থা, আইনশৃঙ্খলা অবনতি এবং বিচারহীনতার প্রতিবাদে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

‎সোমবার (১০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দুপুর দুইটা থেকে তারা এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

পাবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি মুজাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি ফসিউল হক ইমন, সাধারণ সম্পাদক কে এম তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মইন অলীভ সহ বিভিন্ন স্তরের প্রায় শতাধিক নেতা কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

‎এসময় সভাপতি মুজাহিদ হোসেন বলেন, একাত্তর সালে দেশ স্বাধীন ও চব্বিশের ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের মা-বোনদের অবদান অপরিসীম। কিন্তু, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের মা-বোনেরা নির্যাতিত হচ্ছে, তারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার হচ্ছে আমাদের মা, বোন, শিশু, এমনকি প্রতিবন্ধীরাও বাদ যাচ্ছে না। ধর্ষকদের বিচারহীনতার জন্য তারা বারবার ছাড়া পেয়ে পুনরায় ধর্ষণ করছে এবং এভাবেই ধর্ষণের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। তাই, আমাদের একটাই দাবি ধর্ষণের বিচার ১৫ থেকে ২১ কার্য দিবসের মধ্যে করা হোক এবং প্রকাশে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক।

‎সাধারণ-সম্পাদক কে এম তরিকুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচার শাসনামলে দেশের আইন বলতে কিছু ছিল না। ধর্ষণ করলে আমরা দেখতে পেতাম ঠিকই ধর্ষক বুক ফুলিয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াতো। বিগত ১৫ বছরে ধর্ষণের কোন সুষ্ঠ বিচার না হওয়ায় এটি একটি ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। আমরা ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পরে ভেবেছিলাম নতুন বাংলাদেশে ন্যায়বিচার পাব। কিন্তু এখনো দেখতে হচ্ছে ধর্ষকের বিরুদ্ধে সমস্ত তথ্য প্রমাণ থাকার পরেও বিচার কার্য সম্পন্ন করতে কয়েক মাস লেগে যাচ্ছে। যদি ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি দণ্ড কার্যকর করা হতো তাহলে ধর্ষকেরা আর ধর্ষণ করার সাহস পেত না। এজন্য আমি দেশের প্রশাসনের কাছে ১৫ থেকে ২১ কার্য দিবসের মধ্যে ধর্ষণের বিচার সম্পন্ন করার আইন প্রনয়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।

জাহিদুল ইসলাম/এমএ

Exit mobile version