Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

৫ আগস্টের পর থেকে অনুপস্থিত থাকা পাবিপ্রবি শিক্ষক জয়কে সাময়িক বহিষ্কার

৫ আগস্টের পর থেকে অনুপস্থিত থাকা পাবিপ্রবি শিক্ষক জয়কে সাময়িক বহিষ্কার

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: ৫ আগস্টের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত কর্মস্থলে অনুপস্থিত, বিভাগীয় আদেশ অমান্যকরণ এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ভার্চুয়ালী ক্লাসের অনুমতি গ্রহণের কারণে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আওয়াল কবির জয়কে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন পাবিপ্রবি প্রশাসন।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে থেকে জানা যায়, আওয়াল কবির জয়ের বহিষ্কার নিয়ে গত বুধবার রেজিস্ট্রার অফিস থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয় হয়, ‘জনাব ড. মো: আওয়াল কবির, সহকারী অধ্যাপক, সমাজকর্ম বিভাগ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত গত ৭/১১/২০২৪ খ্রি. হতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, বিভাগীয় আদেশ অমান্যকরণ এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ভার্চুয়ালী ক্লাসের অনুমতি গ্রহণের কারণে অসঙ্গত আচরণ, উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আইন সঙ্গত আদেশ অমান্যকরণ, কর্তব্য অবহেলা প্রদর্শন জনিত কার্য সংগঠন এবং পলায়নের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তাঁর এহেন আচরণ সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ)(গ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে প্রেক্ষিতে, সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী অভিযুক্তকে চাকুরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা সমীচীন মর্মে বিবেচিত হওয়ায় এতদ্বারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে জনাব ড. মোঃ আওয়াল কবির কে চাকুরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর থেকে আওয়াল কবির জয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি তৎকালীন প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে তিন মাসের জন্য অনলাইনে ক্লাস নেন। নতুন প্রশাসন আসার পরে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার অনুমতি চাইলে সেটা দেওয়া হয়নি। গত ৭ নভেম্বর থেকে তিনি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। তাকে কর্মস্থলে আসার জন্য প্রশাসন থেকে বলা হলেও তিনি প্রশাসনিক আদেশ অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আওয়াল কবির জয় ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার তিন নাম্বার আসামী ছিলেন, যে মামলাটি ২০১৩ সালে খালাস হয়ে যায়। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।

জাহিদুল ইসলাম/এমএ

Exit mobile version