Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

সহানুভূতিমূলক ও মানবিক আচরণে প্রশংসা কুড়িয়েছে পাবিপ্রবি ছাত্রদল

সহানুভূতিমূলক ও মানবিক আচরণে প্রশংসা কুড়িয়েছে পাবিপ্রবি ছাত্রদল

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবেশে আজ শুক্রবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) গুচ্ছভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল ১১৮১ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর। এরমধ্যে ১১২৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।

দিনের শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পরিবেশ। স্বেচ্ছাসেবক ও প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ভর্তিচ্ছুরা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে প্রবেশ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

তবে এরই মাঝে একটি ব্যতিক্রম ঘটনার জন্ম দেয় এক শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে না পারার দুর্ভাবনা। পরীক্ষার দিন এডমিট কার্ড আনতে ভুলে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে ওই শিক্ষার্থী। তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এসময় পাবিপ্রবি  ছাত্রদলের সভাপতি মোজাহিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী দ্রুততার সঙ্গে বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে আসেন। তারা শিক্ষার্থীর পরিবার ও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রবেশপত্রটি সংগ্রহে সহায়তা করেন।

এ বিষয়ে ওই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী জানান,“আমি ভীষণ নার্ভাস ছিলাম। বুঝতেই পারছিলাম না কী করব। তখন ছাত্রদলের ভাইয়েরা এগিয়ে এসে আমাকে সাহস দেন এবং এডমিট কার্ড ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেন। আমি কৃতজ্ঞ। তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ।”

পরীক্ষার আগমুহূর্তে এমন সহানুভূতিমূলক ও মানবিক আচরণে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে পাবিপ্রবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বলেন,” বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল  সব সময়ই সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।  তারই অংশ হিসেবে আজ ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মাঝে কলম, পানি বিতরণ করছিলা। এমতাবস্থায় ওই শিক্ষার্থী আমাদের এসে বলে, ভাই আমি এডমিট কার্ড উঠাতে ভুলে গেছি আমাকে সাহায্য করেন। ভর্তি পরিক্ষার জন্য  বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়ায় সকল দোকান বন্ধ থাকায় আমরা ক্যাম্পাস থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বাগচীপাড়া নামক স্থান থেকে তার এডমিট কার্ড প্রিন্ট করে দিতে সক্ষম হই।”

জাহিদুল ইসলাম/এমএ

Exit mobile version