Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

প্রশাসনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে কফিন মিছিল করলো ববি শিক্ষার্থীরা

প্রশাসনকে 'মৃত' ঘোষণা করে কফিন মিছিল করলো ববি শিক্ষার্থীরা

ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে চার দফা দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটায় ক্যাম্পাসে কফিন মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করা হয়।

প্রতীকীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করে। শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদের দাবিদাওয়া না মেনে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। দাবিদাওয়া পূরণ ও হয়রানি মূলক মামলা ও সাধারণ ডায়েরি উঠিয়ে নিতেই তাদের এই প্রতিবাদী কর্মসূচি।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনা ‘মিথ্যা’ অভিযোগ প্রত্যাহার এবং তাকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলে পুনর্বহাল করা; আওয়ামী লীগ পদধারী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণ; ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ; ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের দায় স্বীকার করে উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, আমরা গত ১০ দিন ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিস্টদের বিদায়ে আন্দোলন করছি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো দাবী মেনে নেয়নি এমনকি গতকাল আমরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করলে পুলিশ, সেনাবাহিনী প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা আমাদের সাথে দেখা পর্যন্ত করতে আসেনি। সুতরাং আমরা মনে করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন মারা গেছে সেকারনে আমরা আজকে প্রতীকী জানাজা ও কফিন মিছিল করেছি।

নাজমুল ঢালি বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবী দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে জানিয়ে আসছি কিন্তু প্রশাসন এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি এবং তাদের এই নিস্তব্ধতার জন্য আজকে আমাদের এই কফিন মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবী জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে আমাদের নামে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা ও জিডি করে আন্দোলনকে দমন করার প্রচেস্টা চালিয়েছে যা সম্পূর্ণ সৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। আমরা অতিশীঘ্রই এই প্রশাসনের পদত্যাগ দাবী করছি।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করছে। এর প্রতিবাদে তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

সাইফুল/এমএ

Exit mobile version