Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

ধৈর্য্য ও সততা ছাড়া রাজনীতি নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে – বাকৃবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক

ধৈর্য্য ও সততা ছাড়া রাজনীতি নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে – বাকৃবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক

বাকৃবি প্রতিনিধি: রাজনীতি কেবল বক্তৃতা কিংবা নির্বাচনী প্রচারণা নয়, এটি একটি কৌশলনির্ভর ও নৈতিক মূল্যবোধভিত্তিক পথ—যেখানে ধৈর্য্য ও সততার গুরুত্ব অপরিসীম। এমনই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৃষিবিদ মো. আতিকুর রহমান।

‘রাজনীতির কৌশল: ধৈর্য্য ও সততার অপরিহার্য সংমিশ্রণ’ শিরোনামে এক বিশ্লেষণধর্মী কলামে তিনি লিখেছেন, রাজনীতিতে রাতারাতি নেতা হওয়া যায় না। বারবার ব্যর্থ হয়ে আবার উঠে দাঁড়াতে হয়, আর এই পথচলার প্রধান সঙ্গী ধৈর্য্য।

কলামে তিনি বলেন, “ধৈর্য্য শুধু সময় পার করার গুণ নয়, এটি আত্মনিয়ন্ত্রণ, উপলব্ধি ও সংকটময় মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রাখার শক্তি। তাড়াহুড়ো করে নেওয়া সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক সাড়া জাগাতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।”

সততা প্রসঙ্গে আতিকুর রহমান বলেন, “সততা কেবল দুর্নীতিমুক্ত থাকা নয়—এটি হলো মন ও মুখের মিল, কাজ ও কথার সামঞ্জস্য। একজন সৎ নেতা নিজের ভাষায়, কাজে ও আচরণে স্থিতিশীল থাকেন। তিনি যা বলেন, তা করেন, আর যা করেন, তা মানুষের ভালোর জন্য।”

তিনি উল্লেখ করেন, নেলসন ম্যান্ডেলা, মহাত্মা গান্ধী এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান—এই তিন নেতার নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে ত্যাগ, ধৈর্য্য ও সততার ওপর ভিত্তি করে।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “ঘন ঘন উত্তেজনা, বিভাজন এবং দোষারোপের প্রবণতা রাজনীতিকে কৌশলের প্রতিযোগিতায় পরিণত করছে, যেখানে মূল্যবোধের জায়গা সংকুচিত হচ্ছে।”

তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি লেখেন, “তাঁরা যেন রাজনীতিকে কেবল জনপ্রিয়তা বা ক্ষমতার খেলা না ভেবে, একটি দায়িত্ব ও মূল্যবোধের জায়গা হিসেবে বিবেচনা করে।”

কলামের উপসংহারে তিনি বলেন, “যারা সত্যিকার অর্থে ইতিহাস গড়তে চান, তাঁদের পথ আলাদা—তাঁরা ধৈর্য্য ও সততার শক্তিকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যান।”

আসিফ ইকবাল/এমএ

Exit mobile version