রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিনহাজুলের বিরুদ্ধে ক্যান্টিনে ২৫ হাজার টাকা বাকি ও বিনা টাকায় খাবার খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ক্যান্টিন মালিক মো. আলতাফ হোসেন এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত নেতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী ও হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।
ভুক্তভোগী ও হল সূত্রে জানা যায়, মিনহাজ হলে ওঠার পর থেকে আমার ক্যান্টিনে বাকি খেয়ে যাচ্ছে। তার নামে প্রায় ২৫ হাজার বাকি পড়ে গেছে। বারবার বলার পরেও তিনি টাকা পরিশোধ করেননি। এরপর থেকে ক্যান্টিনে খাবার খেলে বাকির খাতায় তা আর লিপিবদ্ধ করতেন না তিনি। মিনহাজের দেখাদেখি হলের আরেক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সোহান হাসানও তিন-চার দিন বিনা টাকায় খাবার নিয়েছে। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিবের অনুসারী।
ক্যান্টিন মালিক আলতাফ হোসেন বলেন, হলের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই অভিযুক্তরা আমাকে ডেকে ৫ হাজার টাকা দেয়। পরবর্তীতে অবিশিষ্ট টাকাও দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে আগে টাকার কথা বললে কখনো গুরুত্ব দিতেন না।
এ বিষয়ে মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমার নামে ক্যান্টিনে তিন-চারশত টাকা বাকি থাকতে পারে। বাকি খাচ্ছি আবার মাঝে মাঝে টাকা পরিশোধও করছি। তবে একজন প্রতিবন্ধী ও একজন গরিব শিক্ষার্থীকে বিনা টাকায় খাবার খাওয়ানোর জন্য সুপারিশ করেছি। এটিই হয়তো তিনি বাকির খাতায় লিখে রেখেছেন। এছাড়া পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে সমঝোতার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
অভিযুক্ত আরেক ছাত্রলীগ নেতা সোহান হাসান বলেন, আমি কখনো ক্যান্টিন থেকে বিনা টাকায় খাবার খাইনি। যদি কেউ আমার নামে খাবার খেয়ে থাকে, সে বিষয়ে আমি অবগত নই।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, নতুন কমিটি পাওয়ার পর থেকেই ক্যান্টিন-ডাইনিংয়ে ফ্রিতে খাবার বা বাকি খাওয়ার বিষয়ে আমরা সোচ্চার ভূমিকা পালন করছি। এ বিষয়ে ডাইনিং-ক্যান্টিন মালিকদের সঙ্গে দেখাও করেছি। ছাত্রলীগের নেতাদের নামে যে অভিযোগ পেয়েছি, সে বিষয়টি নিয়ে আমরা বসব। এ বিষয়ে সত্যতা পেলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।
সার্বিক বিষয়ে শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন আগে ডাইনিং ও ক্যান্টিনের কর্মচারীরা এ বিষয়ে আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছিলেন। পরে অভিযুক্তদের ডেকে এনে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করে। ডাইনিং ও ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষকে বলে দিয়েছি, যেন তাদেরকে বাকি ও বিনা টাকায় না খাওয়ায়।
এসএ