রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের কারুশিল্প ডিসিপ্লিনের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর থিসিস ও নন-থিসিস পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে অনশন করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অনশনে বসেন তারা।
এ সময় ‘চারুকলায় অন্যায় চলে ভিসি স্যার ঘুমাচ্ছেন কেমন করে’, ‘সন্দেহজনক সিগনেচার শিক্ষার্থীদের উপর অত্যাচার,’ ‘নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে শিক্ষক আসেন ১২টার পরে,’ ‘কর্মচারী দিয়ে উপস্থিতি প্রশাসনে আছে কি এই রীতি?’, ‘দিনের পর দিন শিক্ষকের মানসিক অত্যাচার কে করবে এর বিচার?’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মনির উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে এটেন্ডেন্স না দিয়ে ডিসকলেজিয়েট করা। কর্মচারী ও জুনিয়র শিক্ষার্থীদেন থেকে শুনে এটেন্ডেন্স দেয়া। এছাড়া শুরু থেকেই ডিসকলেজিয়েট করা ও পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার হুমকি দেওয়া।
অনশনরত শিক্ষার্থী রিতুপর্না মন্ডল বলেন, মনির স্যার আমাদের মাসের শুরুতেই এ্যাটেনডেন্স খাতায় সিগনেচার করিয়ে নেয়। এবং তিনি তার ইচ্ছে অনুযায়ী এ্যাটেনডেন্স দেন। আমাদের মনে হয় এটি তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে করেছেন।
অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী অনামিকা বলেন, আমরা অনেকবার প্রশাসনের সহযোগীতার জন্য এসেছি। কিন্তু আমরা কোন সহযোগিতা পায়নি। আমরা শেষ অপশন হিসেবে অনশনে বসেছি এবং পরিক্ষা দিতে পারার আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক মনির উদ্দিন বলেন, ডিসকলেজিয়েট হলে শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলবে। এখন তারা তাদের কাজ করছে। আমি তো বাধা দিতে পারি না। এটার সিদ্ধান্ত একাডেমি কাউন্সিল নিবে। আমার নামে যা ইচ্ছে তা করতে পারে, আমি তো বাধা দিতে পারব না। আমি সময়মত ক্লাস নিয়েছি,সময়মত উপস্থিতে কাউন্ট করেছি। যারা ডিস – কলেজিয়েট হয়েছে তারা আগে থেকে জানে তারা পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবে না। কারণ তারা দেরিতে ক্লাস শুরু করেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, এ বিষয়ে কয়েকদিন ধরে তাদের সাথে আমার কথা হচ্ছে। বিষয়টা সমাধানের জন্য আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটা তদন্ত কমিটি করা হবে যদি বিভাগের কোনো দায় থাকে তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত,১২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন কলেজিয়েট, ২ জন নন–কলেজিয়েট এবং বাকি ৮ জনকে ইচ্ছাকৃতভাবে কম উপস্থিতি দেখিয়ে ডিসকলেজিয়েট করা হয়েছে। এই মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪ জনকে আবার ১ দিনের মধ্যে ফরম পূরণ করে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মাফুজুর রহমান ইমন/এমএ