Site icon জনতার বার্তা | জনগনের পক্ষে, জনতার কথা বলে

সেমি-ফাইনাল এই যেন বাংলাদেশের জন্য ফাইনাল

আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে থামিয়ে প্রাথমিক কাজটা সেরেছেন বোলাররা। সেমি-ফাইনালের টিকেটের জন্য এবার দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটসম্যানদের। ১২.১ ওভারের মধ্যে ১১৬ রান করতে পারলে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেরা চারে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।

এছাড়া ১১৫ রান করে ছক্কা মারতে পারলে ১২.৫ ওভার পর্যন্ত সুযোগ থাকছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। আর স্কোর সমান করে বাউন্ডারি মারলে সুযোগ থাকছে ১২.৩ ওভার পর্যন্ত। বাংলাদেশের জিততে এর বেশি ওভার লেগে গেলে সেমিতে পৌঁছে যাবে অস্ট্রেলিয়া।

আর ম্যাচ জিতলে কিংবা বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও সেরা চারের টিকেট পাবে আফগানিস্তান। আপাতত বৃষ্টির কারণে শুরু হয়নি দ্বিতীয় ইনিংস। মাঠ শুকানোর কাজ করছেন মাঠকর্মীরা।

১৯তম ওভারে কাটার-স্লোয়ারের মিশেলে অসাধারণ বোলিংয়ে মাত্র ১ রান দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু শেষ ওভারে রাশিদ খানের কাছে জোড়া ছক্কা হজম করলেন তানজিম হাসান। ২০ ওভারে ১১৫ রানে পৌঁছে গেল আফগানিস্তান।

সেমি-ফাইনালের টিকেট পেতে ১২.১ ওভারের মধ্যে এই লক্ষ্য তাড়া করতে হবে বাংলাদেশের।

করিম জানাতের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৪ বলে ২২ রান যোগ করেন রাশিদ। আফগান অধিনায়ক ৩ ছক্কায় করেন ১০ বলে ১৯ রান। তার এই ক্যামিওতেই মূলত একশ পেরোয় আফগানিস্তান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৮ রান যোগ করেন আফগানরা। মন্থর ব্যাটিংয়ে ১৮ রান করতে ২৯ বল খেলেন ইব্রাহিম জাদরান। আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৫৫ বলে খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস।

দারুণ বোলিংয়ে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, একশর আগেই আফগানিস্তানকে আটকাতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু রাশিদের শেষের ঝড়ে লড়াই করার পুঁজি পেয়ে যায় আফগানরা।

এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে এক মেইডেনসহ মাত্র ১২ রানে নেন ১ উইকেট। রিশাদ হোসেনের ৩ উইকেটের জন্য খরচ ২৬ রান।

/এমএ

Exit mobile version