বিশেষ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে জোরপূর্বক জমি দখল ও উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে হত্যার আশংকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে ইডেন কলেজ ছাত্রী রুমানা আক্তার ও তার পরিবার। এব্যাপারে পাগলা থানায় আগে পরে কয়েকটি মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাগলা থানার ওসি মো. ফেরদৌস আলম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার টায় গফরগাও উপজেলা পাগলা থানার মশাখালী ইউনিয়নের প্রসাদপুর গ্রামে ক্রয়কৃত জমির উপর গাছ রোপণ নিয়ে সূর্যত আলী ও নুর আলমের পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময়ে নুরে আলমের বাড়িঘর ভাঙচুর ও বাড়ির ফলজ গাছ কেটে ফেলেন এবং হত্যার হুমকি এই মর্মে রুমানার বড় বোন আফরোজা আক্তার বাদী হয়ে পাগলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
রুমানা আক্তার জানায় ,২০২১ সালে নূরে আলম নিজ ক্রয়কৃত জমির ওপর রাস্তা তৈরি করলে সুর্যত আলী বাঁধা দেয়, পরে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি সমাধান হয় এবং রাস্তা ব্যবহার করতে থাকে। সম্প্রতি গণ-অভ্যুত্থানের পরে ভেকু দিয়ে রাস্তা ভাঙে ফেলে সুর্যত আলী, এতে নুরে আলম বাঁধা দিতে গেলে নূরে আলমের পরিবারের উপর হামলা এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে সুর্যত আলী ছেলে মেয়েরা৷ পরে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এবং ভেকু জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার ৯ দিন পরে বিবাদী পক্ষ জামিনে এসে হুমকি দিতে থাকে ও চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে আবারও ভেকু দিয়ে রাস্তা ভেঙে দিতে চাইলে ঐ ভেকু দিয়ে সেনাবাহিনীর আদেশে রাস্তা ঠিক করে দেয়।
এরপর থেকে নিয়মিত হত্যার এবং বাড়ি ভাঙচুরের হুমকি দিয়ে আসছে সুর্যত আলীর পরিবারের লোকজন। রুমানা আক্তার জানান, প্রাণ ভয়ে আমি বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে বাড়িতে লুকিয়ে দিনপার করছি। এপর্যন্ত আমাদের বাড়িতে ৬/৭ বার হামলা হয়েছে, আবারও হামলা ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে সুর্যত আলীর পরিবার। বাড়িতে মা অসুস্থ, বাবা বেসরকারি চাকরিজীবি। আত্মীয় বাড়িতে ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছি । আমরা দুবোন বাড়ি ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছি, আমি প্রশাসনের কাছে জানমালের নিরাপত্তা চাই।
সুর্যত আলীর পরিবারের সাথে এবিষয়ে কথা বলতে চাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পাগলা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম জানান, মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষেই থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
/এমএ