শুক্রবার, আগস্ট ১, ২০২৫
spot_img

আদমদীঘির ইউএনও’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে নিজেই ঠিকাদার সেজে কাজ করা এবং ঘুষ না দেওয়ায় ঠিকাদারদের বিল প্রদান না করে মাসের পর মাস হয়রানি করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

সাত জন ঠিকাদার স্বাক্ষরিত এক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর। উল্লেখিত অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে উপজেলার আদমদীঘি ও সান্তাহার প্রেসক্লাবে। 

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, এক বছর পূর্বে তিনি এই উপজেলায় যোগ দান করার পর থেকে সাধারণ মানুষের সাথে প্রভু সুলভ আচরণ করে আসছেন। উপজেলা পরিষদের বিশেষ বরাদ্দের প্রায় দুই কোটি টাকার গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে নিজে ঠিকাদার সেজে বরাদ্দের প্রায় অর্ধেক পরিমান সরকারি অর্থ আত্মসাত করেন। গত ৫ আগস্টের পর সরকারি সিদ্ধান্তে তিনি উপজেলার প্রথম শ্রেণীর সান্তাহার পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর   থেকে তাঁর অনুপস্থিতির কারণে সব ধরণের সেবা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি পৌরসভার উন্নয়ন কার্যক্রমের ঠিকাদারগণ সময় মত কাজ সমাপ্ত করার পর বিল প্রদানের আবেদন করেন। কিন্তু প্রাপ্ত বিলের টাকার শতকরা পাঁচ ভাগ উৎকোচ না দেওয়ার কারণে প্রায় চার মাস অতিবাহিত হলেও বিল অনুমোদনে স্বাক্ষর করছেন না বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এদিকে তিনি পৌরসভার প্রশাসক নিযুক্ত হবার পর মাসে দুই থেকে চার দিন অফিস করেন মেয়রের কক্ষে। ওই কক্ষে থাকা ভালো মানের আসবাব পত্র থাকলেও সেগুলো তাঁর পছন্দ না হওয়ার কারণে বাতিল  টেন্ডার ছাড়াই নিজে ঠিকাদার সেজে রাজস্ব তহবিলের ছয় লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে নামমাত্র আসবাব পত্র ক্রয় করেন। অপরদিকে, পৌরসভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও বগুড়া জেলা প্রশাসকের আগমন ও পরিদর্শন উপলক্ষে পৌরসভার তহবিল থেকে আপ্যায়ন করা হলেও পরে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে প্রায় পৌনে এক লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন বলেও ওই অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে। 

অথচ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত। এমতাবস্থায় পৌরসভার তহবিল শুন্য হবার আশংকায় শংকিত হয়ে পড়েছেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হুজাইফা ট্রেডার্স এর প্রোপাইটার শাহজাহান আকন্দ অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  রুমানা আফরোজ বলেন, ঠিকাদারদের আনা এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি বা সত্যতা নাই। অপরদিকে পৌরসভার বিষয়গুলো নিয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রায়হান মন্ডল বলেন, পৌর সভার যে বিষয়গুলো নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

আবু বকর সিদ্দিক বক্কর/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর