সাইফুর নিশাদ, মনোহরদী: মনোহরদীতে হাইস্কুলের সভাপতি পদে নামের প্রস্তাবদিতে ক্যান্সার আক্রান্ত প্রধান শিক্ষকের গ্রামের বাড়ীতে তিন দফা হামলার ঘটনা ঘটেছে।সেখানে গত রাত ১টার দিকে তার বাড়ীতে ৫ টি পটকার বিস্ফোরন ঘটানো হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে ১১টি অবিস্ফোরিত পটকা পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবীতে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মানববন্ধনও করা হয়েছে।
মনোহরদীর চন্দবাড়ী এসএ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি পদে নাম প্রস্তাবের দাবীতে ক্যান্সার আক্রান্ত প্রধান শিক্ষকের গ্রামের বাড়ীতে তিনদফা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ মিলেছে।
গতরাত ১টার দিকে তার বাড়ীতে ৫ টি পটকার বিস্ফোরন ঘটনা হয়।সেখান থেকে ১১টি পটকা অবিস্ফোরিত ও পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বাড়ীর লোকজন জানান।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমিজ উদ্দীন আকন্দ জানান,স্কুল গভর্নিং বডির কমিটিতে সভাপতি পদে নাম প্রস্তাব করতে বিপ্লব নামের এক নেতা নানাভাবে তার উপর চাপ সৃষ্টি ও হুমকি প্রদান করে আসছিলেন।

এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার রাতে তার বাড়ীতে একদল হোন্ডারোহী যুবক তার বাড়ীর জানালার কাঁচ ভাংচুর করে।ইতোপূর্বেও তার বাড়ীতে আরেক দফা চড়াও হয় তারা।এমতাবস্থায় বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে তার বাড়ীর দরোজার সামনে প্রচন্ড শব্দে ৫ টি পটকার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
পরে গ্রামবাসী চারদিক থেকে ছুটে এলে ১১ টি অবিস্ফোরিত পটকা ফেলে তারা পালিয়ে যায়।প্রধান শিক্ষক রমিজ উদ্দীন আকন্দ ও তার পরিবারের লোকজন জানান,আক্রমনকারীরা চলে যাবার পর রাতের বেলা ঘরের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এ ককটেলগুলো পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত বিপ্লবের বক্তব্য নিতে একাধিকবার ফোন করা হলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
মনোহরদী থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার জানান,পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।আর রাতে বিস্ফোরিত জিনিসগুলো ককটেল নয়, পটকা বলে মনে হচ্ছে। এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে আজ দুপুরে মনোহরদী উপজেলা পরিষদের সামনে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
/এমএ