বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৭, ২০২৫
spot_img

সচল হচ্ছে ঈশ্বরদীসহ দেশের সাত বিমানবন্দর

সিয়াম রহমান, ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: ‎একসময়ে যেসব বিমানবন্দর দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছিল আকাশপথে যোগাযোগ, সেসব স্থাপনাই এখন পড়ে আছে নীরব-নিষ্প্রাণ। তবে সম্প্রতি রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশের এই পরিত্যক্ত বিমানবন্দরগুলোর কার্যক্রম পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেই উদ্যোগের তালিকায় রয়েছে ঈশ্বরদী বিমানবন্দরও।

‎রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় পর্যায়ে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর দাবি জোরদার হয়। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে চলত বিমান। সেই সময় রূপপুর প্রকল্পের প্রয়োজনে এ অঞ্চলে বিমান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। বর্তমানে রূপপুর প্রকল্প ছাড়াও ঈশ্বরদীতে গড়ে উঠেছে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), যা আঞ্চলিক অর্থনীতিকে করেছে আরও গতিশীল।

‎তবে অভিযোগ রয়েছে—ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য কম, নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও আধুনিক ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এসব ঘাটতি পূরণ করে বিমান চলাচল উপযোগী করতে সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

‎ঈশ্বরদীর পাশাপাশি বগুড়া, কুমিল্লা, শমশেরনগর, লালমনিরহাট, তেজগাঁওসহ আরও ছয়টি বিমানবন্দর সচল করতে চায় সরকার। এর মধ্যে বগুড়া বিমানবন্দর চালুর লক্ষ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ বৈঠক হয়েছে এবং সেখানে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যেই চালু হতে পারে বগুড়ার বিমান চলাচল।

‎অন্যদিকে, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সচলের দাবি নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদীবাসী এই দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। স্থানীয় অনেকেই মনে করেন, বিমান চলাচল চালু হলে রূপপুর প্রকল্পে কাজ করা দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের যাতায়াত যেমন সহজ হবে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনেও ঈশ্বরদী এগিয়ে যাবে বহুগুণে।

‎বর্তমানে দেশের দ্রুত শিল্পায়ন, বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ এবং পর্যটনের সম্ভাবনা মাথায় রেখে পরিত্যক্ত বিমানবন্দরগুলো সচল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর এতে করে ঈশ্বরদীর মতো অঞ্চলগুলোতে গতি আসবে অর্থনীতির চাকার।

/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর