রবিবার, আগস্ট ৩, ২০২৫
spot_img

ঈশ্বরদীতে চাল সরবরাহ না করায় ৪৪টি চালকলের লাইসেন্স বাতিল

সিয়াম রহমান, ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: ‎চাল সরবরাহ না করায় পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৪টি চালকলের লাইসেন্স বাতিল করেছে খাদ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহিনুর আলম।

‎জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে ঈশ্বরদীর সরকারি গুদামে চাল সরবরাহের জন্য ৯৯টি চালকলের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৭ হাজার ২৫৮ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতি কেজি সেদ্ধ চাল ৪৭ টাকা এবং আতপ চাল ৪৬ টাকায় কেনার কথা ছিল।

‎উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের তথ্যমতে, ঈশ্বরদীতে মোট ১৪৩টি চালকলের মধ্যে ৯৯টি চালকলকে চুক্তির আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে ৮৩টি চালকল পুরো চাল সরবরাহ করেছে, ১৬টি আংশিক চাল দিয়েছে এবং ৪৪টি চালকল কোনো চাল সরবরাহ করেনি। ফলে এই মৌসুমে ঈশ্বরদীতে ৪ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৬৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। যারা আংশিক চাল সরবরাহ করেছে, তাদেরও জামানত অনুপাতে বাতিল করা হয়েছে।

‎এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চালকল মালিক জানিয়েছেন, এক কেজি চাল উৎপাদনে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা খরচ হয়, অথচ সরকারি গুদামে সরবরাহ করতে হয় ৪৫ টাকায়। এতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। তারা বলেন, লোকসানের কারণে ইচ্ছা থাকলেও অনেকের পক্ষে চাল সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

‎আরেক চালকল মালিক জানান, সরকার নির্ধারিত দামে চাল সরবরাহ করতে গিয়ে বেশ বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। দাম পুনর্নির্ধারণের দাবি জানালেও এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

‎ঈশ্বরদী উপজেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হক দুলাল মণ্ডল বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে চাল সরবরাহ করে তিনি নিজে প্রায় ৩৪ হাজার টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তিনি বলেন, “যাদের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে, তাদের লাইসেন্স পুনর্বহালের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে আবেদন করবো।”

‎উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহিনুর আলম বলেন, সরকারি কাজে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তা যথাযথভাবে পালন না করায় সংশ্লিষ্ট চালকলগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর