জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) স্নাতক (সম্মান) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে মোবাইল চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে এক নারী চোর। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১০ই ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ব্যাগ থেকে মোবাইল চুরির সময়ে ধরা পড়ে এক নারী চোর। এ সময় ফোনটি ওই নারী চোরের হাতে পাওয়া যায়। এরপর তার ব্যাগ যাচাই করলে আরও একটি স্মার্টফোন ব্যাগের ভেতরে পাওয়া যায়।
ওই নারী চোর বলেন, তিনি সাভারের নিউ মার্কেটের পিছনে আনিস নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার পাথরঘাটা উপজেলা নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে, যা আসলে সঠিক নয়। নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায় অবস্থিত। অথাৎ, সে এখানে ভুল তথ্য দিয়েছে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদেরকে।
ছেলেকে কল দিলে তিনি জানান – তার মা শারীরিকভাবে অসুস্থ তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করতে গেছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত পুলিশ তার ব্যাগ যাচাই করলে ২০২৩ সালের কিছু মেডিকেল কাগজপত্র পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ ব্যাচের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইশরাতুন জাহান হিরা বলেন, “আমি আমার ছোটো ভাইকে পরীক্ষার হলে দিয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে দিয়ে আসলে হঠাৎ টের পাই আমার ব্যাগটি হালকা অনুভূত হচ্ছে। তখন পিছনে ফিরে দেখি আমার ব্যাগের চেইন খোলা এবং এক নারী আমার ফোনটি তুলে তার ব্যাগে লুকাচ্ছে। তখন আমি তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলি। এ সময় আমি ও আমার এক বান্ধবী তার ব্যাগ যাচাই করলে আরেকটি ফোন পাই। এরপর ক্যাম্পাসের দায়িত্বরত পুলিশ ও গার্ড সদস্যদের জানাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন (ডেইরি) গেইটে ওই নারীকে চুরির ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। অতঃপর উক্ত নারী চোরকে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মামুনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. রাশিদুল আলম বলেন, “আমরা চুরির ঘটনাটি শুনেছি এবং ওই নারী চোরকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি।”
মোঃ আরিফ হোসেন/এমএ