জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চলছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এ পরীক্ষা নির্বিঘ্নে আয়োজনের লক্ষ্যে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’সহ নানা কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
নিসচা-জাবি শাখার সদস্যের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভর্তি পরীক্ষার প্রথমদিন (৯ই ফেব্রুয়ারি) থেকে এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রয়েছে। আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় পরীক্ষার দিন তারা জরুরি বাইক সার্ভিস, তথ্য সহায়তা প্রদান এবং ক্যাম্পাসের প্রধান গেইটের (ডেইরি গেট) শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ও বহির্গমনে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে যাচ্ছেন।
এছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সার্বিক যানজট নিরসনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিসচা-জাবি শাখা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জেলা সমিতির সাথে সহযোগিতা করে পরীক্ষার সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিনামূল্যে প্রদান করছে। বাস সংশ্লিষ্টরা যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে ব্যাপারে তারা যাত্রীদের সচেতন করছে। ভর্তি পরীক্ষার শেষদিন পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে ‘জাবি ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২৫ সহায়তা কার্যক্রম’ চলমান থাকবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুমিল্লা থেকে আগত একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, “ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। আমি পরীক্ষার ৭ মিনিট পূর্বে মেইন গেইটে আসি। আমার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল জীববিজ্ঞান অনুষদ। তখন আমি নিসচা’র সহযোগিতা চাইলে তারা আমাকে বাইকে করে পরীক্ষা কেন্দ্রে দিয়ে আসে, এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।”
নওগাঁ থেকে আগত একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক মাহমুদা বেগম বলেন, “ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের যানজট নিরসনে তারা পোশাক পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। এতে ক্যাম্পাসের বাইরে এবং ভেতরেও যানজট কম। তাদের এ ধরনের কল্যাণমূলক কাজ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”
নিসচা-জাবি শাখার সদস্য সচিব ফয়সাল আহম্মেদ স্বাধীন বলেন, “নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), জাবি শাখার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য রয়েছে। যেমন – ক্যাম্পাসের সড়কের সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা, ক্যাম্পাস সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সদা সচেষ্ট থাকা, শিক্ষার্থীদের পরিবহণ সংক্রান্ত যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে সংযুক্ত থাকা ইত্যাদি। নিসচা’র চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন যেই স্বপ্ন নিয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন, আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
মোঃ আরিফ হোসেন/এমএ