জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতক সম্মান ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সেবা নিয়ে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পাশে দাঁড়িয়েছে বরিশাল বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সমিতি।
গত ৯ই ফেব্রুয়ারি (রবিবার) ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হয় জাবির এ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এ সময় আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য সহায়তা প্রদান, মোবাইল ফোন ও ব্যাগ জমা রাখাসহ রাতে আবাসনের ব্যবস্থা করেছে বরিশাল বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সমিতি। এছাড়া তারা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য তাবু টানিয়ে ঠান্ডা স্থানে বসার ব্যবস্থা করেছেন।
ঝালকাঠি থেকে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী তাসফিয়া বলেন, “বরিশাল বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সমিতির এ ধরনের কল্যাণমূলক উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা এখানে মোবাইল ফোন ও ব্যাগ রাখতে পেরেছি এবং তথ্য সেবা পেয়েছি, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ছিল।”
বরিশাল থেকে আগত এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক ফেরদৌসি জিনাত বলেন, “বরিশাল বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সমিতির তাবুতে আমি ও আমার মেয়ে গত ১০ই ফেব্রুয়ারি বসে বিশ্রাম নিয়েছি এবং আজও ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় বসছি। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য বিশ্রামাগার, ব্যাগ-মোবাইল ফোন রাখা ও তথ্য সেবা প্রদানের জন্য তাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।”
বরিশাল বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফ বলেন, “প্রতি বছরের ন্যায় আমরা এ বছরও বরিশাল বিভাগ থেকে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য তাবুর ব্যবস্থা করেছি। এটি বরিশাল বিভাগীয় সংগঠন হলেও আমরা সবাইকে তথ্য সেবা প্রদান করছি। এখানে মোবাইল, মানিব্যাগ ও বইপত্র জমা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া রাত্রি যাপনের জন্য আবাসনের ব্যবস্থাসহ আমরা আমাদের সাধ্যানুযায়ী তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।”
সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান বলেন, “বরিশাল বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সমিতি সর্বদা আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পাশে ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এ সমিতির সদস্যগণ গত ছয়দিন যাবৎ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, এজন্য তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। এছাড়াও আমাদের সমিতির সম্মানিত সভাপতি ড. মাহমুদুর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য তাঁদেরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি, আগামীতে যারা সমিতির দায়িত্বে আসবেন তারাও এ ধরনের কল্যাণমূলক কাজ চলমান রাখবেন।”
মোঃ আরিফ হোসেন/এমএ