শনিবার, আগস্ট ২, ২০২৫
spot_img

মাইগ্রেশন হওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি ফেরত পেতে দুই বছরের অপেক্ষা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: দীর্ঘ দুই বছর অপেক্ষার পর অবশেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি ফি ফেরত পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মাইগ্রেশন হওয়া শিক্ষার্থীরা। নানা ধরনের কাগজপত্র সংগ্রহ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আবেদন জমা দেওয়া এবং অপেক্ষার প্রহর গোনা নিয়ে সম্মুখে এখন নতুন ভোগান্তি।

গুচ্ছ ভর্তি প্রকৃয়ার মধ্য দিয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে যারা চূড়ান্ত ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু পরে গুচ্ছভুক্ত অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেছেন, তারাই আবেদন করতে পারবেন ভর্তি ফি ফেরত পাওয়ার জন্য। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখের মধ্যে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে তাদের টাকা ফেরত পাঠানো হবে। সেসময় ভর্তি ও আনুষাঙ্গিক ব্যয়, হল ও বিভাগ কর্তৃক আদায়কৃত ফি হিসেবে  প্রায় ১৬,৩৪০ টাকা প্রদান করতে হয়ছিলো চুড়ান্ত ভর্তির জন্য।

ফি ফেরত পেতে শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্রের সঙ্গে যে নথিগুলো জমা দিতে হবে, তার মধ্যে রয়েছে GST ভর্তি পরীক্ষার রঙিন অ্যাডমিট কার্ডের ফটোকপি, জাককানইবিতে চূড়ান্ত ভর্তির সময় ব্যাংকে জমা দেওয়া রশিদের মূল কপি, বর্তমানে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত ভর্তির ব্যাংক রশিদের ফটোকপি, আবেদনে শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর ও বিকাশ (পার্সোনাল) নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

জানা যায়, গত ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়। এরপর পরবর্তী দুইটি ব্যাচ ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়ে গেছে ইতোমধ্যে। কিন্তু দুই বছর পার হলেও ভর্তি ফি হিসেবে দেয়া তাদের টাকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন শিক্ষার্থীরা।

বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা অনেক আগেই ভর্তির টাকা ফেরতের জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন আবার নতুন করে আবেদন করতে বলা হচ্ছে, যা তাদের জন্য বাড়তি ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইগ্রেশন হওয়া শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,

“দুই বছর আগে ভর্তি হয়েছিলাম, তারপর মাইগ্রেশন হয়ে চলে গেছি। তখনই টাকা ফেরত দেওয়া যেত। এখন আবার নতুন করে আবেদন করতে হবে, কাগজপত্র জমা দিতে হবে, অথচ টাকা কবে ফেরত পাব সেটাও নিশ্চিত না!”

আরেক শিক্ষার্থী জানান, অনেকেই ভর্তি রশিদ হারিয়ে ফেলেছেন, এখন তারা কীভাবে টাকা ফেরত পাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৩ মার্চের পর আর কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন না করলে তারা ভর্তি ফি ফেরত পাওয়ার সুযোগ হারাবেন। আবেদন গ্রহণের পর যাচাই-বাছাই করে ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করা হবে (https://nuadmission.online)। তারপর শিক্ষার্থীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে টাকা ফেরত পাঠানো হবে। তবে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি, যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। 

মো. সাইফুল ইসলাম/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর