সোমবার, আগস্ট ৪, ২০২৫
spot_img

নববর্ষে বাকৃবিতে দিনভর উৎসব, পুরস্কার বিতরণে সমাপ্তি

বাকৃবি প্রতিনিধি: ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩২’ উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। নানান আয়োজনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে নববর্ষের আনন্দ, যা সবার মধ্যে তৈরি করেছিল এক উৎসবের আবহ।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে.আর. মার্কেট থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হয়। জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শোভাযাত্রায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষের অংশগ্রহণে মুখর হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি বৈশাখী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

পরে সকাল ৮টায় বৈশাখী চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় নববর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার এবং জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।

সকাল সাড়ে ৮টায় শিশু কিশোর কাউন্সিল, মহিলা সংঘ, সংগীত সংঘ ও সাহিত্য সংঘের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার এবং জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

এরপর সকাল ১০টায় শিশু কিশোর কাউন্সিলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় শিশুদের হাতের লেখা প্রতিযোগিতা এবং সাড়ে ১০টায় মহিলা সংঘ আয়োজন করে বালিশ খেলার।

দিনের কর্মসূচির শেষ ভাগে, বেলা ১২টায় বৈশাখী চত্বরে বিভিন্ন ইভেন্টের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন জাতীয় উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। বর্ণাঢ্য এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তৈরি হয় এক আনন্দঘন, উৎসবমুখর পরিবেশ।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “আবহমান বাংলার ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। চৈত্র সংক্রান্তির পর বৈশাখেই নতুন ফসল কাটা, লাঠিখেলা, হালখাতার মতো উৎসব আয়োজন হতো—যা আজ বিলুপ্তির পথে। চৈত্রের খরতাপ শেষে বৈশাখ আসে শান্তির বার্তা নিয়ে। মুঘল আমল থেকেই এই আয়োজনের সূচনা হয়েছে। আমি প্রত্যাশা করি, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ আমাদের জীবনে বয়ে আনবে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।”

আসিফ ইকবাল/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর