বাকৃবি প্রতিনিধি: নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার ভাগনে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে রংপুর অঞ্চল অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। গত কয়েকদিন ধরে তুহিনের মুক্তির দাবিতে নীলফামারী, সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার দুপুরে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও রংপুরস্থ নীলফামারীবাসীর ব্যানারে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তুহিনের মুক্তির দাবি ও রংপুর অঞ্চল অচল করে দেওয়ার হুশিয়ারি জানানো হয়।
রবিবার (৪ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) রংপুর আঞ্চলিক চ্যাপ্টারের মহাসচিব ড. মো. মোস্তাহেদ হোসেন ফায়ার।
ড. মো. মোস্তাহেদ হোসেন ফায়ার বলেন, ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন একজন পরিছন্ন রাজনীতিবিদ। তিনি পেশাজীবীদের অহংকার। তার বিরুদ্ধে তৎকালীন ফখরুদ্দিন সরকার নিজ এলাকা ডোমার-ডিমলা সহ গোটা নীলফামারী ঘুরেও এই সৎজন মানুষের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করতে না পেরে জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও দুদককে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে তিনটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। শুধু তাই নয়, ২০০৮ সালে তড়িঘড়ি করে আদালতকে প্রভাবিত করে মামলার রায় প্রদান করেন। সেখানে তাকে কর ফাঁকির মামলায় আদালত একটিতে তিন বছর ও একটিতে পাঁচ বছর রায় প্রদান করে।
তিনি আরও বলেন, দুদকের একটি মামলায় তাকে আদালত দশ বছর সাজা দেন। রায় ঘোষণার দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর ২৯ এপ্রিল ২০২৫ সালে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এই দিন আত্মসমর্পণের পর দুটি পৃথক আদালতের বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রংপুরের মানববন্ধনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রংপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু, মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপির সদস্য, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল ইসলাম নাজু, জেলা যুবদলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান সুইডেন, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম তাজুল ইসলাম। পেশাজীবী সংগঠনের মধ্যে ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার আলতাফ, রফিক, ডাক্তার নিখিল রায়, কৃষিবিদ হালিম, কৃষিবিদ লাভলু, অ্যাডভোকেট শফি, জিয়া পরিষদের রোকনুজ্জামান রোকন, তানজিমসহ অনেকেই।
বক্তারা বলেন, জিয়া পরিবারের অন্যতম সদস্য, নীলফামারীর অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিনের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে; তা না হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
আসিফ ইকবাল/এমএ