নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: দেশের রাজনীতিতে আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘোষণায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করে শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (১১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে থেকে মিছিল বের করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনারের সামনে মিছিলটি শেষ হয়। এরপর মিষ্টি বিতরণ করে শিক্ষার্থীরা।
এসময় মিছিলে শিক্ষার্থীরা এই মুহূর্তে খবর এল, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো; যমুনা থেকে খবর এল, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো; একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর; ইনকিলাব জিন্দাবাদ; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
মিছিলে উপস্থিত বনী আমিন বলেন, ” যে আওয়ামীলীগ গত ষোলো বছর যাবৎ আমাদের উপর জুলুমের স্টিম রোলার চালিয়েছে, জুলাই বিপ্লবে ২ হাজারের অধিক ভাইদের শহীদ করেছে, পঞ্চাশ হাজারের অধিক ভাইদের আহতও পঙ্গু করেছে, সেই আওয়ামীলীগ আজ নিষিদ্ধ হয়েছে। আমরা ইন্টিরিমকে ধন্যবাদ জানাই এবং পরবর্তীতে কোনো ছল চাতুরী না করে আওয়ামীলীগকে সকল প্রকার নিষিদ্ধ করে সে দাবী জানাই। আমাদের জুলাই শহীদ ভাইদের হত্যাকারীদের যেন বিচার করা হয় সে দাবী জানাই। অনতিবিলম্বে যেন জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র দেওয়া হয়। যদি আমরা তা আদায় করতে না পারি, তবে আমাদের শহীদ ভাইদের সন্ত্রাসী আক্ষা দেওয়া হতে পারে, আমাদের বিপ্লবী ভাইদেরকে হত্যা করা হতে পারে। আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথ থেকে নামবো নাহ।
জুলাই আন্দোলনে আহত জাফর বলেন, জুলাই বিপ্লবের ৮/৯ মাস পেরিয়ে গেলেও কুখ্যাত, সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। আজকের এদিন অতি আবেগঘন দিন। আজকে ঘোষনার পর আমি আবেগঘন হয়ে কেঁদে দিয়েছি। আমাকে আপনারা সুস্থ হিসেবে দেখেন। কিন্তু ৫ই আগষ্টের আগের জাফর আর পরের জাফর এক নই। আমি আমার চোখের অর্ধেক আলো হারিয়ে ফেলেছি। আমার কষ্ট শুধু আমি জানি। আন্দোলনের সময় ক্যাম্পাসের কুখ্যাত ছাত্রলীগ জহির আমাকে হুমকি দিয়েছিল, ক্যাম্পাসে আমি কীভাবে প্রবেশ করব সে দেখে নিবে,আমাকে সে ছিঁড়ে ফেলবে। আজ সে জহির ক্যাম্পাসে নাই, কিন্তু জাফররা ক্যাম্পাসে আছে। আজীবন আমৃত্যু বিপ্লবীরা বাংলাদেশে থাকবে, ক্রান্তিলগ্নে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করবে, ইনশাআল্লাহ।
আবদুল্লাহ আল মামুন/এমএ