বিশেষ প্রতিনিধি: চাঁদপুর শহরের পুরান বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়েছে বিএনপির কিছু দুর্বৃত্তরা। হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতরা চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্ররা এদিন বিকালে চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চাঁদপুর জেলায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও জনস্বার্থ রক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনাকে সমন্বিত রাখার লক্ষ্যে বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশ করে বাড়ি ফিরছিলো। স্থানীয়রা জানান সমাবেশ শেষে তারা নিজ নিজ বাড়ি ফেরার পথে তাদের উপর হামলা করে বিএনপির একদল দুর্বৃত্তরা।
আহতদের মধ্যে একজন জুলাই আন্দোলনে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন। ঐ আহত ছাত্রের উপরই তারা পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে বলে জানা যায়। হামলাকারীরা এসময় চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহম্মেদ মানিকের পক্ষে শ্লোগান দিয়ে হামলা চালায় বলেন জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধা ও জুলাই আগস্টে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় আহত সৈনিক আব্দুল হাই লাভলুর উপরও হামলা চালিয়েছে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।
১৫ ডিসেম্বর রাত দশটার দিকে পুরান বাজার ব্রীজের গোড়ায় আব্দুল হাই লাভলুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আব্দুল হাই লাভলু ও তার ছোট ভাই শরিফ সহ প্রায় ১০ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ঘটনার বিবরণের জানা যায়, চাঁদপুরে ৫ই আগস্টের পর চলমান দুর্নীতি চাঁদাবাজ হামলা লুটপাট নৈরাজ্যসহ নানাবিধ জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে ১৫ই ডিসেম্বর একটি প্রতিবাদ ও সংহতি সমাবেশ আহ্বান করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা। সমাবেশে বক্তব্য রাখে আব্দুল হাই লাভলু। এরই সূত্র ধরে রাতে যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল গাজীর নেতৃত্বে ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মীরা আব্দুল হাই লাভলুর দোকান ও বসতবাড়িতে হামলা চালায় এবং লুটপাট করে। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আব্দুল হাই লাভলু ও তার ছোট ভাই শরীফ কে গুরুতর জখম করে।
এবিষয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রকিব জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি এবং সদর থানার ওসিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।
এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁদপুরের সমন্বয়ক তামিম খান বলেন, আমরা দখলদার ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলায় প্রতি মুহূর্তেই জীবন নিয়ে শংকায় রয়েছি। চাঁদপুরে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার দাবিতে এজকে কর্মসূচী ছিল আমাদের। আমাদের কর্মসূচী শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে চাঁদপুর পৌর যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সোহেলের নেতৃত্বে হামলা করে। আমি এখন মামলা করার জন্য থানায় আসছি। আমরা জীবন বাজি রেখে পুলিশের বন্দুকের সামনে নিজের ভুক পেতে আন্দোলন করেছি স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করতে। কিন্তু এখন আমরা আরেক দখলদার রাজনৈতিক দলের আতঙ্কে রয়েছি। আমাদেরকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিচ্ছে আমরা যাতে অন্যায়ের প্রতিবাদ না করি। হুমকি দেওয়ার সব প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।
এই হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত যুবদল নেতাসহ বিএনপির করো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আব্দুল হালিম/এমএ