শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
spot_img

রমজানে বাজারে মিলছে না স্বস্তি

রমজান শুরু। রমজান এলেই হালচাল পাল্টাতে থাকে বাজারদরের। বিশেষ করে ইফতারের নানা সামগ্রীর দাম যেন হয়ে ওঠে লাগাম ছাড়া।

বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, রোজার কয়েক সপ্তাহ আগে বাজারে তেল, পেঁয়াজ, রসুন, ছোলাসহ অন্যান্য রমজানের প্রয়োজনীয় সামগ্রী হু হু করে দাম বাড়তে থাকে। এটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ সকাল ১১টার পর খুচরা পর্যায়ে দেশি শসা ১০০ টাকা কেজি দরে, হাইব্রিড শসা ৮০ টাকা, গোল বেগুন (সবুজ) ৪০-৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা ও কাঁচা টমেটো ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগেও একই বাজারে দেশি শসার কেজি ৭০-৮০ টাকা, হাইব্রিডের শসা ৭০ টাকা, গোল বেগুন (সবুজ) ৩০-৩৫ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা ও কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা। বড় আকারের এলাচ লেবুর দাম প্রতি পিস ২৫ টাকা, যা দুই দিন আগে ছিল ২০ টাকা। আর মাঝারি আকার ও গোল লেবুর পিস ১৫ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ৮০-৯০ টাকা। আর ধনিয়া পাতার ৮০ টাকা কেজি।

সবজির খুচরা বিক্রেতা জানান, সরবরাহ কম থাকায় পাইকারি পর্যায়ের দাম বেশি থাকলেও খুচরা পর্যায়ে দাম খুব বেশি বাড়েনি। কারণ আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত আশানুরূপ বিক্রি নেই। এছাড়াও পাইকারি বাজার থেকে আমরা যখন কিনি, তখন সেখান থেকেই খুচরা পর্যায়ের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। আমরাও সেই দামেই বিক্রি করি।

ক্রেতা জানান, রোজা ঘিরে কয়েকদিন আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এখন সেটা অসহনীয় পর্যায়ে আছে। বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। যে যার খুশিমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে যাই ধরি, সেটারই দাম বেশি। সবকিছুর দাম বেশি। দুই দিন আগেও এক আঁটি ধনিয়া পাতা কিনেছি ১০ টাকায়। এখন সেটা ২০ টাকা দিয়ে কিনলাম।

ফলের মধ্যে তরমুজের কেজি ৮০ টাকা, বলসুন্দরি বরই ১০০-১২০ টাকা ও আপেল বরই ১২০-১৪০ টাকা। দুই দিন আগে তরমুজের দাম ছিল ৭০ টাকা, বলসুন্দরি বরই ১০০ টাকা ও আপেল বরই ৮০-১০০ টাকা। প্রতিটি ফলের দামই ১০-২০ টাকা বেড়েছে। আজ কারওয়ান বাজারে খুচরা পর্যায়ে শবরি কলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৫০ টাকায়, বাংলা কলা ১০০ টাকায়, চাঁপা (চম্পা) কলা ৭৫ টাকায় ও সাগর কলা ১৪০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, দুই দিন আগে শবরি কলার ডজন ছিল ১০০-১২০ টাকা, বাংলা কলা ৮০ টাকা, চাঁপা ৬০ টাকা ও সাগর কলা ১২০ টাকা।

বেল প্রতি পিস আকারভেদে ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আকারে একটু ছোট হলে ৬০-৮০ টাকা। আর কদবেলের পিস ৫০ টাকা। থাই পেয়ারার দাম ৮০-১০০ টাকা কেজি ও দেশি পেয়ারা ১০০-১২০ টাকা। দুই দিন আগে ছিল থাই পেয়ারার দাম ৭০-৯০ টাকা ও দেশি পেয়ারা ৮০-১০০ টাকা। খেজুরের সর্বনিম্ন দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকা থেকে শুরু করে জাতভেদে প্রায় দুই হাজার টাকা পর্যন্ত আছে কারওয়ান বাজারে। এর মধ্যে জাহিদি খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ২০০-২৮০ টাকা, খুরমা খেজুর ৩৫০-৪০০ টাকা, দাবাস খেজুর ৪৫০ টাকা, বরই খেজুর ৪৫০-৫০০ টাকা, মাশরুক খেজুর ৭০০-৮০০ টাকা, সৌদি মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, আজুয়া খেজুর এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, মেডজুল জাম্বু খেজুর এক হাজার ৭০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা।

খেজুর বিক্রেতা জানান, দুই দিনের ব্যবধানে খেজুরের দাম কিছুটা বেড়েছে। কমদামি খেজুরের দাম ১০-১৫ টাকা এবং দামি খেজুরের দাম ১০০ টাকাও বেড়েছে কেজিতে।

এদিকে দুইদিনের ব্যবধানে ছোলা, মসুর ডাল, খেসারি ডাল ও খোলা চিনির দাম বাড়েনি। আজ খুচরা পর্যায়ে ছোলার কেজি ১১০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৩৫-১৪০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১১০ টাকা, খেসারি ডাল ১৩০ টাকা ও খোলা চিনি ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে দোকানীরা বলছেন, গত কয়েকদিনে এই পণ্যগুলোর দাম আর বাড়েনি, একই আছে।

এদিকে ক্রেতারা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বাজারের নিত্যপণ্যের দামের যে অবস্থা, নিম্ন-মধ্যবিত্তরা এক ধরনের সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তারা কোনো ধরনের স্বস্তি পাচ্ছে না।

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর