রবিবার, আগস্ট ২৪, ২০২৫
spot_img

শ্রীপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

আব্দুল হালিম, বিশেষ প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন কাওরাইদ ইউনিয়নস্থ বাপ্তা এলাকায় বাপ্তা মল্লিক বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে স্কুলের চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছ। বিগত কয়েক মাস বাপ্তা অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান এবং বিদ্যালয়ের আশপাশ এলাকার নানা শ্রেনির মানুষের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গাজীপুরের জেলার শ্রীপুরের অদূরে বাপ্তা নামক স্থানে অবস্থিত বাপ্তা মল্লিক বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে গত তিন বছর আগে (২০২২) চতুর্থ শেনির কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন একই বাড়ির চারজন। তাদের মধ্যে দুইজন মহিলা, দুইজন পুরুষ। নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন কালুন মল্লিকের মেয়ে ফাহিমা খাতুন, বিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী আকলিমা আক্তার, শামসুল ইসলাম মল্লিকের ছেলে জাকির মল্লিক এবং তমিজ মল্লিকের ছেলে সুমন মল্লিক। তারা সবাই একই বাড়ির (মল্লিক বাড়ী) বাসিন্দা।

শ্রীপুরের প্রত্যান্ত অঞ্চলের একটি গ্রামের বিদয়ালয়ের ১১জন সদস্যের ম্যানেজিং কমিটির তমিজ উদ্দিন নামে এক সদস্য অভিযোগ করে বলেন প্রধান শিক্ষক ও তৎকালীন সভাপতি হারুন অর রশিদের যোগসাজশে জনপ্রতি চার লাখ টাকার বিনিময়ে গত তিন বছর আগে উপরোক্ত চারজন কর্মচারীকে নিজের খেয়াল খুশিমতে নিয়োগ দিয়েছে। আমরা ম্যানেজিং কমিটিতে থাকার পরও প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেনের অনুগত মেজরিটির উপস্থিতি দেখিয়ে এসব বিষয়ে আমাদের এড়িয়ে যান দিনের পর দিন। স্কুলের আয় ব্যায়ের হিসাব চাইলে আমাদেরকে ক্ষমতার ভয় দেকিয়ে দূরে সরিয়ে রাখেন তিনি। আমি এই কমিটির তিনবারের সদস্য বিগত ছয় বছর যাবত।

তিনি আরো বলেন আমরা ভিন্নমতের হওয়ার কারনে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের বিভিন্ন সময়ের আয় ব্যায়ের হিসাব, পুরাতন (ভাঙ্গা) স্কুল বিক্রি করে নতুন ভবনের মেরামত এবং স্কুল উন্নয়নের কথা বলে ছাত্রদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করে একাই আত্মসাৎ করে থাকেন। নিয়োগের টাকা স্কুলের উন্নয়নের কথা বলে তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে। পুরো টাকা প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি হারুন মিলে আত্মসাৎ করার কারনে সেখানে আমরা স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করেছি।
তমিজ উদ্দিন আরো অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের জমি দাতা সদস্যদের নামের দোহাই দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তি মালিকানায় ভোগ দখল করে আসছে প্রধান শিক্ষকের সাথে মিলে, যেখানে স্কুলের আয়ের টাকা থেকে প্রতিবছর খাজনা দিয়ে আসছে। তার মতে সরকারি কর যদি স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করে তাহলে বিদ্যালয়ের ফসলি জমি ও অন্যান্য হিসাব প্রতিষ্ঠানের উন্নতির স্বার্থে কাজে লাগা উচিত।

তবে পরিত্যক্ত স্কুলের পুরাতন ঘর প্রতিষ্ঠানের মেরামতের কাজে খরচ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানশিক্ষকের অনুপস্থিতে সহকারী শিক্ষক এবং অন্যান্য জানিয়েছেন সেটি বিক্রি করে আনুষাঙ্গিক কিছু মেরামত করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন টাকা লেনদেন মাধ্যমে কর্মচারী নিয়োগের বিষয়টি আমি শুনেছি।

বাপ্তা মল্লিক বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, এখানে কোন পুরাতন ঘর ছিল না। যা ছিল তার বহুদিন আগেই তুফানে ফেলে দেওয়ার কারনে নষ্ট হয়ে গেছে। এবং কর্মচারী নিয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।

এসব বিষয় কথা বলতে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজিব আহমেদের সাথে কয়েকদিন মুঠোফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করেও পাওনা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দূর্নীতি দমন কমিশনের সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর