জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ: পবিত্র ঈদুল ফিতর আসতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যেন ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠতে শুরু করেছে শহরের বিভিন্ন মার্কেট, বিপণী, শপিংমল ও সুপারশপে । দোকান ঘুরে ঘুরে ছোট-বড়রা কিনছেন তাদের পছন্দের প্রসাধনী । আর পছন্দের তালিকায় রয়েছে বিশেষ করে কসমেটিকস সামগ্রী। রূপচর্চার পাশাপাশি নিজেদেরকে বিভিন্ন আঙ্গিকে সাজাতে ও নিজস্বতা আনতে কসমেটিকস পণ্য কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তরুণীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ধামইরহাট উপজেলার পৌর সদর এলাকার আমাইতারা বাজারে ❝হাজী মোশাররফ হোসেন❞ মার্কেটে “সৃজনশীল সুপারশপে” ক্রেতাদের উপছে পড়া ভীড়।
কসমেটিকস পণ্য কিনতে আসা ক্রেতাদের মধ্য থেকে জান্নাতুন ফেরদৌস জানান, এসেছিলেন ঈদের নতুন জামা- কাপড়ের সঙ্গে ম্যাচিং করে কানের দুল,হিজাব ব্যান্ড, মালা ও চুড়ি নিতে । সে আরও বলেন, ঈদে কেনা নতুন শাড়ির ধরন অনুযায়ী নিজেকে সাজিয়ে তুলতে এসব নিতে এসেছেন এ সুপারশপে।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারীর সাথে কথা বললে, মো. শাহ পরাণ জানান- ঈদের অন্যান্য বাজারের তালিকায় রয়েছে এই কসমেটিকস সামগ্রী। পোশাকের দোকানের ন্যায় কসমেটিকসের দোকানেও এমন ভীড় দিনের পরে দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে তরুণীরা নিজেদের জন্য মেহেদী, চুড়ি, মালা, কানের দুল, পায়েল, নুপুর, ঝুমকাসহ এজাতীয় পণ্য বেশিরভাগ কিনে নিচ্ছেন। আবার কিনছেন প্রিয় জনদের জন্য নানা ধরনের উপহার সামগ্রী।
অপরদিকে, ক্রেতাদের দর-কষাকষি কথা জানতে চাইলে বিক্রেতা জানান, ক্রেতারা তাদের পছেন্দের জিনিস দর-দাম করে নিবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বর্তমানে সব জিনিসের দাম বেশি হওয়ায় এসব পণ্যের দামও তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সুলভ মূল্যে অল্প লাভে বিক্রিয় করে ক্রেতাদেরকে খুশি করা।
উল্লেখযোগ্য কসমেটিক সামগ্রীর মধ্যে মানের উপর ভিত্তি করে- মেহেদি ২৫-৩০, রেশমি চুড়ি ৩৫-৪০, মালা ৫০-১০০,ফিঙ্গার রিং ৭০-১২০, হিজাব ব্যান্ড ১০০-১৩০, পায়েল ৫০-১০০, নুপুর ৫০-১০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বলে জানান বিক্রেতা।
মোঃ এ কে নোমান/এস আই আর