সোমবার, আগস্ট ১৮, ২০২৫
spot_img

ইবিতে কোটা বৈষম্যবিরোধী বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ

ইবি প্রতিনিধি: সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে কোটা পদ্ধতি পূনর্বহাল সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সকল চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে মেধা ভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই প্রতিবাদ র‍্যালি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডায়না চত্বরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে। লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী সীমা বলেন, কোটার ব্যবহারের ফলে একটা গোষ্ঠী শিক্ষা চাকরি এবং সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। এরফলে আমরা যে সাধারণ শিক্ষার্থী আছি তারা পিছিয়ে যাচ্ছি। এটা এক প্রকার বৈষম্য। যা আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমাদের কোটার একটি সুষ্ঠু বণ্টন থাকা উচিত। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেই দেখতে পারবেন যে একবার একটা পরিবার একটা কোটা ব্যবহার করতে পারলে পুনরায় সেই কোটা ব্যবহার করতে পারেন না। আমরা চাই আমাদের মহামান্য হাইকোর্ট বিষয়টি আমলে নিয়ে কোটার সংস্কার নিয়ে আসুক।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে মহামান্য হাইকোর্ট যে পরিপত্র প্রদান করেছিলো তা যেন পুনর্বহাল রাখে। তা নাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে এবং তা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তাই ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল না করা হলে সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।

এসময় তারা ৬ টা দাবি ঘোষণা করে আন্দোলন সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন। দাবিগুলো হলো-
১. কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।

২. ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করতে হবে।

৩. অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কৌটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৪. সরকারি এবং নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটা ব্যবহার করা যাবে না।

৫. কোটাধারি শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

৬. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ, মেধা ভিত্তিক ও আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এছাড়াও বাংলাদেশে ছাত্র সমাজ, গুণীজন, বিশ্লেষক ও শিক্ষাবিদদের সাথে সমন্বয় করে একটি সুষ্ঠু সমাধান বের করবেন। যদি আপনারা ব্যর্থ হন তাহলে বাংলাদেশের আপামর ছাত্রসমাজ, জনসাধারণ যেমন ১৯৫২ ও ১৯৭১ এ জেগে ওঠেছিল তেমনি পুনরায় গণজাগরণের ডাক দিবে।

রবিউল আলম/এস আই আর

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর