বুধবার, মে ১৪, ২০২৫
spot_img

জাবি ক্যাফেটারিয়ায় চড়া দামে মৃত মাছি পড়া খাবার পরিবেশন

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ক্যাফেটারিয়ায় চড়া দামে মৃত মাছি পড়া অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটারিয়ায় খেতে আসা ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. শাকিল হোসেন ডালের মধ্যে পড়া মৃত্যু মাছি দেখতে পান। এছাড়াও ক্যাফেটারিয়ার খাবার নিয়ে বিগত সময়ে অনেক শিক্ষার্থীর এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে মো. শাকিল হোসেন বলেন, “আমি ৯:৩০টায় ক্লাস শেষ করে ক্যাফেটারিয়ায় সকালের নাস্তা করতে আসি‌। কিন্তু কুপন দিয়ে খাবার গ্রহণকালে ডালের মধ্যে পড়ে থাকা মৃত মাছির ডাল আমাকে দেওয়া হয়। আমি কর্তব্যরত কর্মচারীকে বললে তিনি অন্য বাটি নিতে বলেন। সেখানে থাকা অন্য দুইটি ডালের বাটির একটির মধ্যেও মৃত মাছি দেখতে পাই। এতেই স্পষ্ট যে, ক্যাফেটারিয়ায় পরিবেশনকৃত খাবার কতটা অস্বাস্থ্যকর ও নিম্নমানের! এর আগেও কয়েকবার বিষয়টি ক্যাফেটারিয়া কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোনো ধরনের ব‌বস্থা গ্রহণ করেনি।”

ক্যাফেটারিয়ায় খেতে আসা অন্য শিক্ষার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ক্যাফেটারিয়ায় চড়া দামে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয়। বাহিরের দোকানের ১০ টাকার ডালের তুলনায় ক্যাফেটারিয়ার ডালের পরিমাণ কম এবং নিম্নমানের। ভোরে প্রস্তুতকৃত ঠান্ডা খাবার সকাল ১০টা পর্যন্ত খাওয়ানো হয়। এছাড়াও ক্যাফেটারিয়ার চেয়ার, টেবিল, গ্লাস ও জগ প্রায়শ অপরিষ্কার থাকে এবং জগে পানি পাওয়া যায় না। কর্তব্যরত কর্মচারীদের পানি আনতে বললে তারা বলেন, সকালে একবার পানি ভর্তি করাই আমাদের দায়িত্ব, এরপর পানি লাগলে শিক্ষার্থীরা এনে খাবেন।”

জাবির আরেক শিক্ষার্থী মো. নাইমউর রহমান বলেন, “বাইরের খাবারের তুলনায় ক্যাফেটারিয়ার খাবারের গুণগত মান কম হওয়া সত্ত্বেও অনেক বেশি দাম রাখা হয়। এখানে ১৫ টাকার খিচুড়ি দামের তুলনায় পরিমাণে অনেক কম এবং গুণগত মানেও অনেক পিছিয়ে। ১০টার পর থেকে দুপুর পর্যন্ত যে শিঙাড়া দেওয়া হয় তাও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। দুপুরে ৪০ টাকায় যে মুরগির পিচ দেওয়া হয় তা গুণে মানে যথেষ্ট নয়। বাইরে সমপরিমাণ টাকায় দ্বিগুণ বড় পিচ পাওয়া যায়, এখানের খাবারের স্বাদও ভালো না। ডিম রান্নার মানও ভালো নয়, কোনো তরকারি না দিয়ে বেশি করে ঝাল ঝোল দেওয়া হয়, যা খাবারের জন্য উপযোগী নয় এবং অস্বাস্থ্যকরও বটে। দুপুরের মেন্যুতেও ২/১টা পদের খাবার ছাড়া পর্যাপ্ত পদ পাওয়া যায় না। এভাবে চলতে থাকলে এখানে খাওয়া শিক্ষার্থীরা আগামীতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাফেটারিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. সারোয়ার হোসেন বলেন, “খাবারে মাছি ও ক্যাফেটারিয়া অপরিষ্কার এগুলো দুঃখজনক। সর্বদা পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রেখে স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের নির্দেশনা দিয়ে আসছি। এরপরও যদি এখানে কোনো ধরনের অবহেলা থেকে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর আমি ক্যাফেটারিয়ায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে লোকসান দিয়ে সর্বোচ্চ কম দামে শিক্ষার্থীদের খাওয়ানোর চেষ্টা করছি। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী এরচেয়ে কমে দামে খাওয়ানো আমাদের দ্বারা সম্ভব নয়।”

মোঃ আরিফ হোসেন/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর