শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
spot_img

জয়পুরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, জয়পুরহাট: জয়পুরহাট সদর উপজেলার একটি গ্রামীণ রাস্তার সরকারি ২০ থেকে ২৫টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে।  

অভিযোগ উঠেছে, রাস্তার পাকাকরণ কাজের প্রতিবন্ধকতার অজুহাত দেখিয়ে সরকারি টেন্ডার ছাড়াই দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল আলম সামুনের নির্দেশে এ গাছগুলো কাটা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান গাছগুলো ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছেন। তবে স্থানীয়রা বলছেন, গাছগুলোর দাম লক্ষাধিক টাকা হবে। স্থানীয় প্রশাসনও রাস্তার সরকারি গাছ কাটার কথা জানেন না।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দোগাছী ইউনিয়নের রাঘবপুর বাগুয়ান এলাকায় ৩৫০ মিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া জেলা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এই কাজ শুরু হয়েছে। ওই রাস্তার দুইপাশে ঔষধি গাছ অর্জুন, জাম গাছসহ অন্যান্য কিছু গাছও লাগানো আছে।

পাকাকরণের ওই অংশে ২০ থেকে ২৫টি গাছ ছিল। রাস্তা পাকাকরণ কাজের প্রতিবন্ধকতা হবে এমন অজুহাতে ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম সুমন শ্রমিক লাগিয়ে গাছগুলো কেটে নিয়ে তা বিক্রি করেন।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, শ্রমিকেরা বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুইদিনে গাছগুলো কেটে ফেলেছেন। কাটার পরপরই তারা সেগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলেন। চেয়ারম্যান সামছুল আলম সুমনের নির্দেশে গাছগুলো কাটা হয়। কিন্তু রাস্তার কাজে গাছ কাটার কোনো প্রয়োজন ছিল না। তবুও ক্ষমতা দেখিয়ে চেয়ারম্যান এসব করেছে।

চেয়ারম্যান সামছুল আলম সুমন বলেন, রাস্তা যেগুলো হচ্ছে, সেসব কাজ নিয়ে আসতে আমার ব্যক্তিগত কিছু টাকা খরচ হইছে। সেগুলো তোলার কোনো ব্যবস্থা নেই, এখন বেশির ভাগ রাস্তার গাছ বন বিভাগ লাগায়। কিন্তু ওই রাস্তাটি বন বিভাগ বা কারও আন্ডারে নেই। রাস্তা প্রশস্তকরণে ১০ ফিট, আর দুই পাশে ৩ ফিট করে প্রয়োজন। আমাদের হিসাব মতে এটি পরিষদের রাস্তা। পরিষদ থেকে প্রতিদিন দরিদ্র মানুষের মাঝে টাকা পকেট থেকে দিতে দিতে শেষ। তাই তাদের জন্য ফান্ড খোলা হয়েছে। সেখানে ১৭টির মতো গাছ ছিল। ঔষধি অর্জুন গাছ বেশি ছিল। তেমন দাম না থাকায় ১৭ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। এরমধ্যে আমার (পরিষদের) ফান্ডে ১০ হাজার টাকা ঢুকেছে।

চেয়ারম্যান বলেন, এখন যদি সরকারি প্রসেসে যাই, তাহলে ৬ মাস থেকে ৭ মাস সময় লাগবে। এই সময়ের জন্য কি রাস্তার কাজ বসে রাখা সম্ভব? তাছাড়া রাস্তার গাছ কাটার ক্ষমতা আমার আছে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সামিন শারার ফুয়াদ বলেন, রাস্তার মধ্যে যদি দু-একটি গাছ পড়ে সেগুলো কাটা হয়। কিন্তু এরকম ভাবে অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা হয় না।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, রাস্তার গাছগুলো কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে এলজিইডিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

জয়নাল আবেদীন জয়/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর