শুক্রবার, আগস্ট ১, ২০২৫
spot_img

গুরুদাসপুরে কুপিয়ে জখম ও বাড়ি লুট

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাটোরের গুরুদাসপুরে রফিকুল ইসলাম (৪২) নামে এক শিক্ষককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে বিবাদী শহিদুল ইসলাম, আব্দুল ওহাবসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পোয়ালশুড়া দড়ি পাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। রফিকুল গুরুদাসপুর উপজেলার পোয়ালশুড়া দড়িপারা গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে। তিনি জ্ঞ্যানগৃহ কচিং সেন্টারের পরিচালক। এঘটনায় রফিকুলের স্ত্রী নুসরত সুলতানা বাদী হয়ে শহিদুল, আব্দুল ওহাবসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে রবিবার রাতেই গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয় ও এজাহার সুত্রে জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে খেলার সময় বিবাদী মজনু প্রামানিকের ছেলে জিহাদের সাথে রফিকুল ইসলামের ছেলে রাফিউলের ঝগড়া বিবাদ হয়। খেলার মাঠেই তা সমাধান করে দেন স্থানীয়রা। সেই বিষয়ের জের ধরে রবিবার সকালে অভিভাবকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বাড়ির সামনে জনৈক আয়নালের চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন রফিকুল। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শহিদুল, আব্দুল ওহাব তাদের বাহিনীসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রফিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এসময় আব্দুল ওহাব ধারালো হাসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপালে মাথায় যখম প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রফিকুল। রফিকুলের ডাক চিৎকারে স্থানীয় জিয়াউর রহমান @ জিয়া এগিয়ে গেলে তাকেও বেধরক মারপিট করে। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে রফিকুলকে খুন করার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সন্ত্রাসী বাহিনী। স্থানীয়রা গুরুত্বর যখম অবস্থায় রফিকুল ও আহত জিয়াকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেই সাথে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে ঘরে ডুকে আলমারীর ড্রয়ার ভেঙ্গে বিবাদী শহিদুল ইসলাম নগদ- ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং আব্দুল ওহাব ও মুনকার ১ ভরি ৮ আনা স্বর্ণ অলংকার লুট করে পালিয়ে যায়।

আহত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন- খেলার সময় আর ছেলের সাথে মজনুর ছেলের ঝগড়াবিবাদ হয়। বিষয়টি খেলার মাঠেই মিমাংশা করে দেওয়া হয়। রবিবার দুপুরে চায়ের দাকানে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ শহিদুল, মজনুসহ তাদের লোকজন আমার উপর হামলা চালায়। আমি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।

আহত জিয়াউর রহমান বলেন, তিনি বাড়ির পাশেই দাড়িয়ে ছিলেন। রফিকুল চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ ওহাব তার লোকজন নিয়ে রফিকুলের উপর হামলা চালায়। আমি ধরতে গেলে তারা আমাকেও মারপিট করে। আমি এর সঠিক বিচার দাবি করি।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমিন জাহান লুনা বলেন, রবিবার দুপুরে রক্তাক্ত অবস্থায় রফিকুল ইসলাম নামে রোগী আসে। তার মাথায় দুটি আঘাত রয়েছে। শেলাই দেওয়া হয়েছে।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো, উজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোঃ সোহাগ আরেফিন/এস আই আর

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর