সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫
spot_img

জনবল নিয়ে তদন্তের সাক্ষাৎকার দিতে এলেন উপ-পরিচালক

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: তদন্ত কমিটির কাছে স্বাক্ষাৎকার দিতে দলবল নিয়ে আসার অভিযোগ উঠেছে বগুড়া পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম শফির বিরুদ্ধে। তার ভাড়া করা লোকজন তদন্ত কমিটির সামনে বিশৃঙ্খলা করেছেন। এসময় ভয়ে তটস্ত হয়ে পড়েন সাক্ষাতকার দিতে আসা সাধারণ কৃষকরা।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা ভবনে ঘটে এই ঘটনা। তদন্ত চলে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। অভিযুক্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম শফির বিরুদ্ধে জ্ঞাতবহির্ভূত আয় ও চাকরির প্রভাব খাটিয়ে এলাকার মানুষদের তটস্ত করার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে ‘কোটিপতি দুই ভাইয়ের ভয়ে তটস্থ গ্রামের মানুষ’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর রফিকুল ইসলাম শফির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। দুই সদস্যের একটি তদন্ত দল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা ভবনে তদন্ত কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। রফিকুল ইসলাম শফি গুরুদাসপুর উপজেলার বামনবাড়িয়া গ্রামের মৃত মমতাজ মন্ডলের ছেলে। তিনি ১৮ তম বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তদন্তে অভিযুক্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম শফি, সংবাদ প্রকাশিত গণমাধ্যমের প্রতিবেদকসহ বামনবাড়িয়া গ্রামের বেশকিছু কৃষককে স্বাক্ষাতকার গ্রহণের জন্য চিঠির মাধ্যমে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাকা হয়। এসময় রফিকুল ইসলাম শফির পক্ষে আবুল কালাম, সাইফুল ইসলাম, জামাল, আব্দুস সালাম, রঞ্জু, শাহাবুদ্দিন, নজরুল ইসলাম, বজলুর রহমানসহ অন্তত ৪০জন পরিবার পরিকল্পনা ভবনের ভেতরে এবং বাইরে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে সংবাদকর্মীদের ওপর চড়াও হন শফির লোকজন। পরিস্থিতি সামাল দিতে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বহিরাগত লোকজনকে ভবনের বাইরে অবস্থানের জন্য অনুরোধ করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্বাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু করে তদন্ত কমিটি। তবে তদন্ত কমিটির কোনো সদস্য গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

স্বাক্ষাৎকার দিতে আসা হায়দার আলী, আফতাব হোসেন, নাজমুল হাসান, আমিরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হকসহ বেশ কয়েকজন বলেন, তদন্ত কমিটির কাছে স্বাক্ষাৎকার দিতে এসে তারা দেখেন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম শফি লোকজন ভাড়া করে এনেছেন। এতে তারা ভীত হয়ে পড়েন। অনেকেই স্বাক্ষাৎকার না দিতে হুমকিও দেন। মূলত তদন্ত প্রভাবিত করতেই লোকজন ভাড়া করে এনেছেন ওই কর্মকর্তা। তাছাড়া রফিকুলের ভাই মো. শওকত আলী বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক হওয়ায় তদন্ত প্রভাবিত করতে নানাভাবে চেষ্টা করছেন।

তবে এব্যাপারে বগুড়া পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম শফির মুঠোফোনে ফোন দিলে ব্যস্ততা দেখিয়ে পড়ে কথা বলব বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

মোঃ সোহাগ আরেফিন/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর