ঈশ্বরদী (পাবনা): বাই সাইকেল ছিনিয়ে নিতে গলা টিপে ধরায় কাওছার আহমেদ (৯) নামের এক শিশু এখন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ ছিনতাই হওয়া সাইকেলসহ ছিনতাইকারী শ্রাবণ হোসেনকে (১৮) আটক করেছে।
সোমবার ১০ জুন সকালে ঈশ্বরদীর সাঁড়া চাঁনমারি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
আহত কাওছার আহমেদ উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের মাজদিয়া রঙিলাপাড়ার গাজী মালিথার ছেলে। সে স্থানীয় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র।
আটক ছিনতাইকারী শ্রাবণ একই ইউনিয়নের মাজদিয়া নতুনপাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে।
আহত কাওছারের বাবা গাজী মালিথা জানান, সকাল ৯ টার দিকে কাওছার তার মামার বাই সাইকেলটি নিয়ে ঘুরতে যায়। এই সময় শ্রাবণ তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে পদ্মানদীর সাঁড়া ঘাট সংলগ্ন কলাবাগানে নিয়ে যায়। কাওছারের নিকট থেকে শ্রাবণ সাইকেলটি ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এতে কাওছার বাধা দিলে তার গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধ করে। এতে কাওছারের মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। তখন মৃত ভেবে কাওছারকে ফেলে রেখে সাইকেলটি নিয়ে চলে যায় শ্রাবণ।
পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি কলাবাগানে ঘাস কাটতে গিয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে কাওছারকে উদ্ধার করে চাঁনমারি মোড়ে নিয়ে আসে। এই সময় কেউ তাকে চিনতে না পারায় স্থানীয় মসজিদে বিষয়টি প্রচার করা হয়।
এরপর স্থানীয়রা ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে হাসপাতালে যাওয়া হয়। অচেতন কাওছারের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন জানান, অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া বাই সাইকেলসহ শ্রাবণ নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এই বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সিয়াম রহমান/এস আই আর